আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা

প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা সম্পর্কে আমরা অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা যেতে চাই।  কিন্তু সবার পক্ষে আমেরিকা যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা সম্পর্কে।  

আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা


যা থেকে আপনারা খুব সহজেই আমেরিকান ইমিগ্রেশন ভিসা সম্পর্কে আশা করি সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন।  তাই আপনারা যারা আমেরিকার ইমিগ্রেশন  ভিসা সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ুন।  কিভাবে যাবেন বা যাওয়া সম্ভব কিনা এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত দেওয়ার চেষ্টা করব। 


আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা দুই প্রকার


প্রথমত -অপরিমিত ইমিগ্রেশন ভিসা

দ্বিতীয়তঃ- পরিমিত ইমিগ্রেশন ভিসা


অপরিমিত ইমিগ্রেশন আমেরিকার নাগরিকের নিজ পরিবারের সদস্য যেমন স্ত্রী, পিতা ,মাতা ,অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান।  এছাড়াও বৈদ্য স্থানীয় অধিবাসী হিসেবে যারা দীর্ঘদিন আমেরিকায় আছেন তাদের ফ্যামিলির মেম্বার।  যেমন স্ত্রী, পিতা , মাতা এবং ছেলে, মেয়ে এদের আসলে অপরিমিত ইমিগ্রেশন ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। 


পরিমিত মিগ্রেশন ভিসা ১৯৯৫ সালে এ ধরনের ইমিগ্রেশন পদ্ধতি চালু হয়েছে।  এই পদ্ধতি তিনটি শ্রেণী করা হয়েছে। এই তিন শ্রেণীর আওতায় বিভিন্ন দেশের থেকে সর্ব মোট ৬ লাখ ৭৫ হাজার ব্যক্তি প্রতি বছর আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন এই তিনটি শ্রেণী হল। 


প্রথম শ্রেণী হল -পারিবারিক ভিত্তিক 

দ্বিতীয় শ্রেণি হল- চাকরি ভিত্তিক 

তৃতীয় শ্রেণি হল -অন্যান্য বিষয় ভিত্তিক


পরিবারভিত্তিক প্রথম শ্রেণীর ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর ২৬ হাজার ব্যক্তি আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ পাবেন এর মধ্যে আমেরিকার নাগরিকের অবিবাহিত পুত্র-কন্যা ২৩ হাজার 400 জন। 


দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে সেই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তান অথবা অবিবাহিত ছেলে মেয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার 200 জন যেতে পারবে। 


আরো পড়ুন




প্রিয় ল্যাপটপ ব্যাংক                                                             আগামী ৭ দিনের আবহাওয়ার খবর



তৃতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে আমেরিকার নাগরিক বা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী i-১৩০ ফর্ম পূরণ করে।  বিস্তারিত বিবরণ ইমিগ্রেশন অথবা ন্যাচারালাইজেশন [ আই এন এস ] এর অফিসে জমা দিতে হবে। 


আবেদন মনোনীত হলে আই এন এস তাকে আরেকটি ফর্ম পাঠাবে ৭৯৭ করে নিকটবর্তী ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে।  পরে ডাক্তারি পরীক্ষা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সাক্ষাতকারের মাধ্যমে কর্মকর্তা নিশ্চিত হলে আবেদনকারী আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ পাবে। 


সাধারণ পরিবার ভিত্তিক ইমিগ্রেশন এর জন্য প্রতিবছর যে পরিমাণ আবেদনপত্র জমা পড়ে তা নির্দিষ্ট নিয়মে তার কাগজ শেষ করতে তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। 


আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা চাকুরী  ভিত্তিক


চাকুরী ভিত্তিক এই শ্রেণীতে প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তিকে ইমিগ্রেশন ভিসা দেওয়া হয়।  এর মধ্যে রয়েছে বিশেষজ্ঞতা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানী শিল্পী ব্যবসায়ী খেলোয়াড় শিক্ষক গবেষক বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা। 

আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা


এবং ব্যবস্থাপক প্রতিবছর ৪০ হাজার ৪০ জন শতকরা ২৮.৬৫ বিজ্ঞান শিল্পকলা ব্যবসায়ী ইত্যাদি বিষয়ে।  ব্যতিক্রমী দক্ষতা এবং উচ্চতর ডিগ্রি প্রাপ্ত ব্যক্তি ৪০ হাজার ৪০ জন ধর্মীয় কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরিজীবী।  এবং তাদের পরিবার আমেরিকার সরকারের বর্তমানে এবং প্রাক্তন চাকরিজীবী ৯ হাজার ৯০০ /৪০ জন। 


এছাড়া আমেরিকায় ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সক্ষম ৯ হাজার থেকে ৯৪০ জন আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ পাবেন। 


আমেরিকায় ইমিগ্রেশনের জন্য মার্কিন আইনে ২৯৩{ গ } ধারা অনুযায়ী প্রতিবছর ৫৫ হাজার লোককে ভিসা দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কয়টি অঞ্চলে ভাগ করে এই কর্মসূচিতে ইমিগ্রেশন ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। 


এই শ্রেণীতে নির্বাচিত দেশ থেকে প্রতি বছর সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার লোক ভিসা পাওয়ার জন্য মনোনীত আবেদন করতে পারে।  আবেদনকারীর সাধারণ কিছু তথ্য ও ছবি সহ আবেদন পত্র প্রোগ্রামের আওতায় কম্পিউটার পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে ভিসার জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।  আমেরিকার টেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে এই পর্যন্ত মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই দেশে যে থাকে। 

আমেরিকা ভিসা খরচ

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার খরচ

বাংলাদেশ থেকে যদি আপনারা আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনার মোট খরচ পড়বে ১৩.৯৯০ টাকার মতো তাছাড়া আপনারা সরাসরি এই লিংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে পারেন। 


আমেরিকার ট্রানজিট ভিসা


আপনারা চাইলে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমেরিকার ট্রানজেক্ট ভিসার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ট্রানজিট ভিসার জন্য আবেদন করলে আপনার মোট খরচ পড়বে ১৪০০০ টাকার মতন। 


আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার খরচ


বাংলাদেশ থেকে যারা আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। যারা অনলাইনে আবেদন করবেন তারা এই ওয়েবসাইটে খুব সহজেই ১৪০০০ টাকার ফি মাধ্যমে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 


আমেরিকা ওয়ার্ক ভিসা


যারা আমেরিকাতে শুধুমাত্র সিজনাল কাজের জন্য ভিসা করতে চান। তারাও অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। আমেরিকা ভিসা আবেদন খুব সহজেই করতে পারেন এই লিংকের মাধ্যমে আপনার খরচ পড়বে ১৬,৫০০ টাকার মতন। 


প্রিয় পাঠক আজকে এ পর্যন্তই আশা করি আমার লেখা সবাই বুঝতে পেরেছেন লেখার মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post