কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার নিয়ম


প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার নিয়ম আমরা অনেকেই ল্যাপটপ কিনতে চাই। কারণ ল্যাপটপ অনেক সময় অনেক কাজে লাগে চাকরিজীবীদের অফিসিয়াল কাজে ল্যাপটপ লাগে। 


তাছাড়া ছাত্রদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ল্যাপটপ প্রয়োজন হয়।  তাই আজকে আপনাদের সাথে ল্যাপটপ কেনার উপায় বলবো। আপনারা কিভাবে কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনবেন সেটা জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পুর্ণ বিস্তারিতভাবে পড়ুন।  

কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার নিয়ম


কারণ কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে হলে অনেক নিয়ম যেমন আছে তেমন কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে গেলে অনেক সুবিধা আছে। আবার কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে গেলে অনেক অসুবিধা আছে তাই সম্পূর্ণ জেনে নিন কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার আগে কি প্রয়োজন। 


কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার নিয়ম ২০২২


আগেই বলে রাখা উচিত কেননা যে কিস্তিতে পরিশোধের সামর্থ্য থাকলেই কেবল কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার চিন্তাভাবনা করবেন।  কারণ কারণ ল্যাপটপ কেনার পর আপনি বিভিন্ন রকম ঝামেলা করতে পারেন। তাই আপনি যদি চিন্তা ভাবনা করেন থাকেন যে আপনি কিস্তিতে কিস্তির মাধ্যমে সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে পারবে পারবেন তাহলে অবশ্যই আপনি কিস্তির মাধ্যমে ল্যাপটপ কিনতে পারেন। 


বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার সুবিধা প্রচলিত আছে।  তাই আপনি যদি কিস্তির মাধ্যমে ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে এটি সম্পূর্ণ ভাবে আপনার ভালো ধারণা থাকা জরুরী, না হলে আপনার ল্যাপটপ কেনা তো হবেই না বরং সে আপনি আর ও হয়রানির শিকার হতে পারেন। 


কিস্তির প্রকারভেদ সমূহ


কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার কয়েকটা উপায় তার মধ্যে একটি হলো জামানতের কিস্তি আপনি যদি এর মাধ্যমে ল্যাপটপ কিনতে চান।  তাহলে আপনার নির্দিষ্ট একটি মূল্যের সম্পদ জমা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে জমির দলিল অথবা আপনার ব্যাংকের চেক তাদের কাছে জমা রাখতে হবে।  এবং মাসিক কিস্তির নিশ্চয়তার জন্য ইনকামের শর্ত জুড়ে দেওয়া হবে। 


ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড এর অসুবিধা বর্তমানে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে আপনার যদি কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ড থাকে , তাহলে আপনি কাঠ কাজে লাগাতে পারেন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রে সাধারণত মাস্টারকার্ড বলা হয় এগুলোকে এই কার্ড থাকলে আপনার ল্যাপটপ কেনার জন্য কিস্তি পাবেন। 


ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ড এবং জামানত বিহীন কিস্তি সুবিধা আপনি যদি এক্ষেত্রে কিস্তিতে ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে কোনরকম জামানত ব্যাংক কার্ড এর কোনো প্রয়োজন হবে।  না আপনার দু একটি বৈধ কাগজপত্র এবং একাধিক গ্যারান্টেড টের পেলেই আপনি ব্যাংকের কার্ড গুলো।  


এবং জামানত ছাড়াই আপনি কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার সুবিধা পেতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে জামানতবিহীন কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার সুবিধা ঝুঁকিপূর্ণ হতে।   পারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ছাড়া কেউ এরকম কিস্তিতে সুবিধা দিয়ে থাকে না আমরা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরবো কোন কোন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে আপনি কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। 


কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার সুবিধা 


যাদের হাতে টাকা থাকে না অথবা টাকা আছে কিন্তু হাতে পেতে অনেক সময় লাগবে তারাই শুধু জরুরী ভিত্তিতে কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার কথা চিন্তা করে থাকেন।  এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনে থাকেন তাই কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার সুবিধা নিয়ে আলোচনা করব আপনাদের সাথে। 


এক নাম্বারে হল একেবারে সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে হয় না। 

দুই নম্বর হলো আপনারা পছন্দ মতন এবং নির্দিষ্ট কনফিগারেশনের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। 

3 নাম্বার হলো স্টুডেন্টদের জন্য টিউশনি করানো ল্যাপটপ কিনে ফেলতে পারবেন। 

4 নাম্বার হলো আপনি যদি চান খরনা করেও প্রতিমাসে খরচ নিয়ে ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন।


কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার অসুবিধা

কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার অসুবিধা রয়েছে এক্ষেত্রে কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার কিছু অসুবিধা তুলে ধরা হলো। 


কিস্তিতে ল্যাপটপ খুব একটা পাওয়া যায় না কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড লাগে তারপরও সবার কাছে থাকে না। এই ক্ষেত্রে অনেকটাই ঝামেলা পোহাতে হয় তাই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে না এবং তুলনামূলকভাবে উচ্চ মনসা দিতে হয় কিস্তিতে টাকা পরিশোধ না করতে পারলে হয়রানির শিকার হতে হয়। 


কিস্তিতে ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়


ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড জামানত ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে পারেন কিন্তু এখনো বিশ্বস্ততার একটি ব্যাপার রয়েছে। তাই আমরা তিনটি প্রতিষ্ঠান সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিবো যা আপনাকে কিস্তিতে ল্যাপটপ দিবে সেই কোম্পানিগুলো হলো। 

আরো পড়ুন


সিঙ্গারের কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার সুবিধা রয়েছে জামানতবিহীন


বাংলাদেশ সিঙ্গার কোম্পানি সম্পর্কে বেশি কিছু বলার কোন দরকার নেই। বাংলাদেশ সিঙ্গার এর জনপ্রিয়তা এবং তার ব্যাংকিং গুলো অনেক আগেই ভালো পর্যায়ে দখল করে রেখেছে।  তাই কেউ যদি চায় বাংলাদেশ থেকে কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে সেক্ষেত্রে 6 থেকে 12 মাসের কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।


বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স

বাংলাদেশের মধ্যে ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রয়ের মধ্যে নামকরা একটি প্রতিষ্ঠান হল বেস্ট এলেক্ট্রনিকস এখানে সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য পাওয়া যায় কিস্তির মাধ্যমে তাই এখান থেকে কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে পারেন। 


ওয়ালটন কম্পানি এর কিস্তি সুবিধা

বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি ইলেকট্রিক কোম্পানি হলো ওয়ালটন কোম্পানি বর্তমানে ওয়ালটন কোম্পানি বাজারে বিভিন্ন রকমের পণ্য  বাজার জাত করে।  এই ওয়ালটন কম্পানি থেকেও আপনি ল্যাপটপ বাজেটের মধ্যে কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে পারেন। 

কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার নিয়ম


ছাত্রদের জন্য কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার উপায়

বর্তমানে বিভিন্ন কম্পানিগুলো ছাত্রদের জন্য ল্যাপটপ কেনার সুবিধা দিয়ে রেখেছে অলটন সিঙ্গার সব বিভিন্ন কোম্পানী ল্যাপটপ কেনার সুযোগ সুবিধা দিয়ে রেখেছে।  ছাত্রদের জন্য তাই আপনি চাইলে উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। 


এক্ষেত্রে তাদের 40% অগ্রিম জমা দিতে হবে এবং বর্তমান প্রতিমাসে থেকে নির্দিষ্ট এভাবে পর্যায়ক্রমে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে বর্তমানে ছাত্রদের জন্য এবং সিঙ্গার ইলেকট্রিক এবং কোম্পানিগুলোর। 


তাই আপনারা কিস্তিতে ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে এই সমস্ত দিকনির্দেশনা গুলো ফলো করতে পারেন ফলো করে কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনুন আজকে এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post