এশার বেতের নামাজের নিয়ম
বিতর আরবি ‘আল-বিতরু’ শব্দ থেকে উদ্ভুত। এর শাব্দিক অর্থ বেজোড়। বিতর নামাজকে বিতর বলার কারণও এটি, কেননা বিতর নামাজ বেজোড়। বর্ণনাভেদে বিতর নামাজ তিন বা এক রাকাত। হাদিস শরিফে বিতর নামাজের রাকাত ও ধরন নিয়ে বর্ণনার বৈচিত্র রয়েছে।
হানাফি মাজহাব মোতাবেক বিতর নামাজ তিন রাকাত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘রাসুল (সা.) বিতরের নামাজ তিন রাকাত আদায় করতেন।’ (সুনান দারু কুতনি, হাদিস : ১৬৫৯; বাদাইয়েউস সানায়ি, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ২৭২)
বিতর নামাজ কত রাকাত
আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, রমজানে নবীজির নামাজ কেমন হতো? জবাবে তিনি বলেন, রমজানে এবং রমজানের বাইরে রাসুল (সা.) ১১ রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কোরো না! এরপর আরো চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহিহ বুখারি : ১/১৫৪, হাদিস ১১৪৭; সহিহ মুসলিম : ১/২৫৪, হাদিস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮, হাদিস ১৬৯৭)
সাদ ইবনে হিশাম (রহ.) বর্ণনা করেন, আয়েশা (রা.) তাকে বলেছেন, রাসুল (সা.) বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। (সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮; হাদিস ১৬৯৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৪/৪৯৪, হাদিস ৬৯১২)।
ইমাম হাকেম (রহ.) হাদিসটি বর্ণনা করার পর বলেন, হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহিহ।
বিতর নামাজের নিয়ম
বিতর নামাজ প্রায় অন্য ফরজ নামাজের মতো। তবে নিয়মের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও খুবেই সহজ। সে ক্ষেত্রে দুই রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসবে এবং তাশাহহুদ পড়বে। কিন্তু সালাম ফেরাবে না। এরপর তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহা পড়বে। এরপর অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলাবে। কিরাত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দুহাত কান পর্যন্ত উঠাবে। এবং তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবে। তারপর নিঃশব্দে (অনুচ্চ স্বরে) দোয়া কুনুত পড়বে। দোয়া কুনুত পড়ে আগের মতো রুকু-সিজদা করবে। তারপর শেষ তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে।
বিতরের নামাজের এই পদ্ধতি বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে এবং সাহাবিদের আমলের মাধ্যমে সুপ্রমাণিত।
মহানবী (সা.) সাধারণত তাহাজ্জুদের পর বিতর নামাজ পড়তেন এবং বিতর তিন রাকাত পড়তেন। তিন রাকাতের দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদের জন্য বসতেন, কিন্তু সালাম ফেরাতেন না। বরং তৃতীয় রাকাতে সবশেষে সালাম ফেরাতেন।
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ও আমিরুল মুমিনিন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-ও এভাবে বিতর পড়তেন। তার সূত্রে মদিনাবাসীরাও বিতর নামাজ এভাবে গ্রহণ করেছেন। (মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন : ১/৩০৪, হাদিস : ১১৮১)
এশার নামাজের নিয়ম
এশার নামাজের ফজিলত
এশার নামাজের শেষে বেতের নামাজ আদায় করতে হয়। বেতের নামাজ ৩ রাকাত। এই পোস্টে বেতের নামাজের নিয়ম আলোচনা করা হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর
এবং এশার অধিক তাৎপর্যপূর্ণ। এই দুই নামাজের জন্য অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সহজ হয়।এশার নামাজ সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে।
রাসুলুল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় বা সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায়, তার কাফফারা হলো যখনই তা মনে হবে,
কিভাবে এশার নামাজ পড়তে হয়
তখনই (সঙ্গে সঙ্গে) নামাজ আদায় করে নেবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮৪)। ১০ রাকাত এশার নামাজে প্রথমে চার রাকাত সুন্নত আদায় করতে হয়।
অতঃপর চার রাকাত ফরজ আদায় করতে হয় এবং শেষে দুই রাকাত সুন্নত আদায় করতে হয়। এশার নামাজ শেষ হলে বেতরের নামাজ শুরু করতে হয়।
বেতের নামাজের মধ্য দিয়ে নামাজের সমাপ্তি ঘটে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে এশার নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা জানতে সক্ষম হবেন।
এশার বেতের নামাজের নিয়ম
বাংলা নিয়তঃ আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে তিন রাকাত বেতরের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য দাড়ালাম আল্লাহু আকবার। ১/ কেবলা মুখী হয়ে বেতের নামাজের নিয়ত বাধতে হবে। নিয়তটি হলোঃনাওাইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’ লা সালাসা রাক’আতাই সালাতিল বেত্রে ওয়াজিবুল্লাহি তা’লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা’ বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার। ২/ সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
৩/ সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার পড়তে হবে। ৪/ সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সিজদায় লুটিয়ে পড়তে হবে। ৫/ সিজদায় গিয়ে যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পাঠ করতে হবে। ৬/ আল্লাহু আকবার বলে আবার একইভাবে সেজদা দিতে হবে।এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ হবে। ৭/ দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
৮/ প্রথম রাকাতে প্রক্রিয়াগুলো পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে। শুধুমাত্র সিজদার পর তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু) পাঠ করতে হবে।এভাবে দ্বিতীয় রাকাত শেষ হবে। ৯/ তৃতীয় রাকাত এ সূরা ফাতিহার পর অন্য যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পাঠ করতে হবে। ১০/ আল্লাহু আকবার বলে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হবে। ১১/ পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো দ্বিতীয় রাকাতের মতই তবে এক্ষেত্রে সিজদা দেওয়ার পর তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহীম এবং দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করতে হবে। ১২/ সর্বোপরি সালাম ফেরাতে হবে এবং সবশেষে দুহাত তুলে মোনাজাত করতে হবে।
এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ
মাগরিবের নামাজের পরে এশার ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত সময় থাকে। তবে নামাজ সময়ে পড়াই ভালো।খুব বেশি কাজ থাকলে মধ্যরাতে নামাজ আদায় করা যাবে আবার ফজরের আগ পর্যন্তও আদায় করা যাবে।
এশার নামাজের নিয়ম মহিলাদের
মহিলা ও পুরুষদের নামাজের কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। এই পোস্টে এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চার রাকাত সুন্নতঃ ১.প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়তে হয়। ২. এরপর নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত দিতে হয়। ৩. সানা পাঠ করার পর সূরা ফাতিহা এবং সেই সাথে যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়। ৪. সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হয়।
এশার নামাজ কত রাকাত
৫.সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ পড়তে হয়। ৬. সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বেজোড় সংখ্যকবার পড়তে হয়। ৭. আল্লাহু আকবার বলে আবার একইভাবে সিজদা দিতে হয়। ৮. প্রথম রাকাত শেষ হয়। ৯. দ্বিতীয় রাকাত একই প্রক্রিয়ায় করতে হবে। শুধুমাত্র নিয়ত করার প্রয়োজন নেই,সানা পড়ার প্রয়োজন নেই এবং সেজদা দেয়ার পর আত্তাহিয়াতু পড়তে হয়। ১০. তৃতীয় রাকাত প্রথম রাকাতের মতই আদায় করতে হয়( নিয়ত করার প্রয়োজন নেই)।
১১. চতুর্থ রাকাত তৃতীয় রাকাতের মতই।শুধুমাত্র সিজদার পর তাশাহুদ(আত্তাহিয়াতু),দুরুদে ইব্রাহীম এবং মা সূরা পাঠ করতে হয়।সবশেষে সালাম ফিরিয়ে মোনাজাত ধরতে হয়। চার রাকাত ফরজঃসুন্নত এর মতই। তবে দুই রাকাতের পর সুরা ফাতিহাতে অন্য যে কোন সূরা মিলানোর প্রয়োজন নেই।এভাবে চার রাকাত ফরজ আদায় করতে হয়।দুই রাকাত সুন্নতঃ দুই রাকাত সুন্নত একই প্রক্রিয়ায় আদায় করতে হয়।শুধু নিয়ত ভিন্ন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সালাম ফিরিয়ে মোনাজাত করতে হয়।
তারাবির নামাজ কত রাকাত
তারাবির নামাজ ২০ রাকাত। তারাবির নামাজকে আট রাকাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা অনুচিত। পবিত্র রমজান মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল এই তারাবির নামাজ। এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আল্লাহর রাসুল (সা.) তিন দিন এই নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছেন। তিনি নিয়মিত সম্মিলিতভাবে জামাতের সঙ্গে তারাবি নামাজ আদায় করলে, তা ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই পুরো রমজানে তিনি জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করেননি।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারাবির নামাজ পড়ার প্রচলন ঘটে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রা.)-এর যুগে। সাহাবায়ে কিরামের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা সুন্নাত হিসেবে সাব্যস্ত হয়। তখন আর এটি ফরজ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। কেননা মহানবী (সা.)-এর ওফাতের মাধ্যমে ওহির পথ বন্ধ হয়ে যায়।
তাবেঈ ইবনে আবি জুবাব (রহ.) বলেন, ‘ওমর (রা.)-এর যুগে রমজানের তারাবি ছিল ২৩ রাকাত।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৭৩৩)
তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
প্রখ্যাত তাবেঈ আবদুল আজিজ ইবনে রুফাই (রহ.) বলেন, ‘উবাই ইবনে কাব (রা.) রমজানে মদিনায় লোকদের নিয়ে ২০ রাকাত তারাবি ও তিন রাকাত বিতর পড়তেন।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : হাদিস : ৭৭৬৬)
পৃথিবীর প্রথম সহিহ হাদিসগ্রন্থ ‘মুয়াত্তা মালিক’সহ অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, তাবেঈ ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রহ.) বলেন, ‘উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর যুগে লোকেরা রমজানে ২৩ রাকাত তারাবি পড়তেন।’ (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস : ৩৮০; আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকি, হাদিস : ৪২৪৯)
এ ধরনের বহু সহিহ বর্ণনার আলোকে ও সাহাবি-তাবেয়িনের যুগ থেকে চলে আসা অবিচ্ছিন্ন কর্মের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়, উমর (রা.)-এর যুগে মসজিদ-ই-নববীতে ২০ রাকাত তারাবি হতো। এখনো মক্কা-মদিনায় ২০ রাকাত তারাবি হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই সুন্নাত নামাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বলা যায়, এটি সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাত।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ও আমার খুলাফায়ে রাশেদার সুন্নত দৃঢ়ভাবে ধারণ করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬০৭, তিরমিজি, হাদিস : ২৬৭৬, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৬৬৯২, সুনানে ইবনে মাজা, হাদিস : ৪২)
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
সুতরাং তারাবির রাকাত নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। কেননা যেখানে আট রাকাতের কথা আছে, সেটি মূলত তাহাজ্জুদসংক্রান্ত হাদিস। মহানবী (সা.) রমজানে ও রমজানের বাইরে প্রতি রাতে আট রাকাত তাহাজ্জুদ ও তিন রাকাত বিতরের নামাজ পড়তেন। মহান আল্লাহ আমাদের উপলব্ধি ও আমল করার তাওফিক দান করুন।
একজন মুসলমানের রমজান পালনের পূর্ণাঙ্গ একটি গাইডলাইন ‘যেভাবে কাটাবেন রমজান’। রমজানবিষয়ক প্রস্তুতির জন্য এবং সর্বোত্তমভাবে রমজান পালনে এই বইটি পাঠকের জন্য বেশ উপকারী। বইটি রচনা করেছেন আলেম ও সাংবাদিক মুফতি কাসেম শরীফ।
প্রশ্ন : আমাদের কোনো কোনো মসজিদে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়া হয় আবার কোনো কোনো মসজিদে ৮ রাকাত পড়া হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ৮ রাকাত পড়েন তাঁরা বলেন, রাসুলুল্লা (স.) কখনো ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়েননি। আমি জানতে চাচ্ছিলাম তারাবির নামাজ কোনটা সঠিক, ২০ রাকাত না ৮ রাকাত?
উত্তর : আপনি তারাবির নামাজ ২০ রাকাতও পড়তে পারেন। এটি ওলামায়েকেরামের বক্তব্য রয়েছে এবং এ বিষয়ে সাপোর্ট রয়েছে এবং এর পক্ষে দলিলও রয়েছে। ৮ রাকাতও আপনি পড়তে পারেন। ৮ রাকাতের বিষয়ে ওলামায়েকেরামের ইস্তিহাদ রয়েছে তারাবির সালাতের বিষয়ে।
আপনি যে কথা বলেছেন, রাসুলুল্লা (স.) কখনো তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়েননি, এ কথা সত্য বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কোনো সহিহ হাদিসের মাধ্যমে এটি সাব্যস্ত হয়নি রাসুলুল্লাহ (স.) ২০ রাকাত পড়েছেন।
প্রশ্ন : তারাবির নামাজ আসলে কী? আমরা কি এটিকে সালাতের সঙ্গে তুলনা করব?
উত্তর : তারাবির সালাত এক ধরনের নফল সালাত। এটির নির্দিষ্ট কোনো সালাতের কথা বলা হয়নি, দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত, ২০ রাকাত, ২৪ রাকাত, ৩০ রাকাত যার যতটুকু সমর্থ রয়েছে তিনি ততটুকু পড়বেন। তারাবির সালাত মূলত রাতের নামাজ এবং রাতের নামাজের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশনা হচ্ছে দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আদায় করা। কত রাকাত, রাসুলুল্লাহ (স.) তা নির্ধারণ করে যাননি। কেউ যদি ২০ রাকাত পড়েন তাহলে পড়তে পারেন, কেউ যদি ৮ রাকাত পড়েন তাহলে সেটাও পড়তে পারেন