পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয়

পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা হলে কিছু করণীয় আছে যা আপনাকে সহায়তা করতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু উপায় প্রয়োগ করে আপনি পেটের ব্যাথা কমাতে পারেন:



গরম পদার্থ ব্যবহার করুন: পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা কমাতে আপনি গরম পদার্থ ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, হিটিং প্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে । এছাড়াও গরম জলে স্নান করলে এবং গরম তরল পদার্থ পান করলেও স্বস্তি পাওয়া যায় ।


মালিশ করুন: পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা কমাতে আপনি পেটে মালিশ করতে পারেন। নারকেল বা তিলের তেল দিয়ে মালিশ করলে মাংসপেশীর মোচড় কমানো যায় এবং ব্যাথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।


হার্বাল চা পান করুন: পিরিয়ডের সময় হার্বাল চা পান করলে সুফল পাওয়া যায়। দুধ ছাড়া আদা, গোলমরিচ দেওয়া চা পান করতে পারেন । এছাড়াও ক্যামোমাইল চা পান করা যেতে পারে, যা পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর সাথে সাথে অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং প্রি-মেন্সট্রুয়ল সিন্ড্রোমও কপিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয়:


প্রথমেই আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা হলে এটি কারণ হতে পারে কিছু মেডিকেল সমস্যার জন্য। একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করান। 


পেটে গরম পানির বোতল বা হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যাথা কমাতে হিটিং প্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি পেটের মাংসপেশীর মোচড় কমানোর সাথে সাথে স্বস্তি দেয়। 


নারকেল বা তিলের তেলের মালিশ করুন। পিরিয়ডের সময় তলপেটে নারকেল বা তিলের তেলে ম্যাসাজ করলে মাংসপেশীর মোচড় কমানো যায় এবং ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 


হার্বাল চা পান করুন। পিরিয়ডের সময় হার্বাল চা পান করলে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আদা, গোলমরিচ, ক্যামোমাইল চা পান করা যেতে পারে। এই চা প্রোস্টাগ্ল্যাংডিনের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। 


পিরিয়ডে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে যা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত রাখবে। পিরিয়ডের সময় আপনার শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যেতে পারে, তাই আপনাকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করা ও প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।


পিরিয়ডে স্বাস্থ্যকর খাবারের কিছু উদাহরণ 


মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, কচুশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, ফুলকপির পাতা, ছোলাশাক, ধনেপাতা, তরমুজ, কালো জাম, খেজুর, পাকা তেঁতুল, আমড়া ইত্যাদি আপনার পিরিয়ডের সময় গ্রহণ করা উচিত .

পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন, কারণ পিরিয়ডের সময় রক্তপাতের পাশাপাশি শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। তাই এই সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 



প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, দই, পনির, মুরগির মাংস, সোয়াবিন, লেন্টিলস, চিকপিজ, সোয়াবিন ইত্যাদি গ্রহণ করা উচিত।

ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, সবজি, গাজর, পালং শাক, পেয়াজ, লাল শাক, কাঁচা আম, কমপিরিয়ডে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে যা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করবে। এই সময়ে আপনার শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যেতে পারে, তাই আপনাকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার ও পানির পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ করা উচিত।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়


পিরিয়ডের ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেকেই অনুভব করেন। এই সমস্যার কারণ হতে পারে হরমোনাল পরিবর্তন, মাসিক পরিবর্তন, শারীরিক ও মানসিক তন্ত্রের পরিবর্তন ইত্যাদি। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারেন। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো:


গরম পানির ব্যবহার: পিরিয়ডের সময় তলপেট ও কোমরে ব্যথা কমাতে আপনি হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন । এটি আপনার সমস্যার সাথে সাথে সামগ্রিক সুস্থতা বাড়ানোর সাথে সাথে আরাম পাওয়ায় সাহায্য করবে।


ম্যাসাজ: তলপেটে ১০-১৫ মিনিট ধরে ল্যাভেন্ডার তেল ম্যাসাজ করা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে । ল্যাভেন্ডার তেলের গন্ধ মন শান্ত করে এবং মাসিক ব্যথা কমিয়ে তুলবে।


বিশ্রাম: পিরিয়ডের দিনে বেশি দৌড়াদৌড়ি না করে একটু বিশ্রাম নিন। গল্পের বই পড়ুন, গান শুনুন, অথবা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন । এটি আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখবে এবং ব্যথা কমাবে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post