এলার্জি কত ধরনের এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, আপনারা যারা জানতে চান তারা অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন কেননা বর্তমানে এলার্জি ছোট বড় সকলেরই হয়ে থাকে।
তাই আপনারা যারা এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে চান তারা অবশ্যই এর সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা জানা থাকা খুবই জরুরী।
তাই আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে এলার্জি কত ধরনের এবং কিভাবে এলজি হতে পারে এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আশা করব আপনাদের আমার এই আর্টিকেলটি কিছুটা হল উপকারে আসবে তাহলে চলুন জেনে না যাক এলার্জির সম্পর্কে।
এলার্জি কত ধরনের এ বিষয় আলোচনা করবো?
অনেক ধরনের অ্যালার্জি রয়েছে যা প্রধান ৪টি শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত। প্রধান ৪টি শ্রেণী হলো-
১) ত্বকের সংস্পর্শে (skin contact)
২) আহারে (Ingestion)
৩) ইনজেকশন (Injection)
৪) শ্বাস-প্রশ্বাসে (Inhalation)
আজকাল যেখানে সেখানে পয়জন আইভি নামক গাছ জন্মাচ্ছে। কোনো এক কারণে এই গাছের সংস্পর্শে আসলেই অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে।
তবে সবার যে হচ্ছে তা নয়, যাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমেই পয়জন আইভি গাছকে ক্ষতিকারক মনে করে অ্যান্টিবডি তৈরি করে নিচ্ছে ,শুধুমাত্র তাদের বেলাতেই গা চুলকানো ও জ্বালা করার সমস্যা দেখা যায়।
যাদের পয়জন আইভি গাছে অ্যালার্জি আছে, তাদের ওক (Oak) এবং সুমাক (Sumac) গাছের সংস্পর্শে আসলেও অ্যালার্জি হতে পারে।
বিষাক্ত গাছ বা কোনো লতাপাতা থেকে অ্যালার্জি হলে চুলকানো বা জ্বালাভাব ২-৩ দিন থেকে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।
এলার্জি কি ছোঁয়াচে রোগ
এটি ছোঁয়াচে রোগ। একধরনের পরজীবীর আক্রমণে এ রোগ দেখা দেয়। বাড়িতে একজন আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কম থাকে, তাদের এ রোগ বেশি হয়।
এলার্জি ঔষধ এর নাম
হিস্টাকাইন্ড ১২০ এম জি ট্যাবলেট (Histakind 120 MG Tablet) ...
গ্লেনফাইন ১২০ এম জি ট্যাবলেট (Glenfine 120 MG Tablet) ...
অ্যালারনেক্স ১২০ এম জি ট্যাবলেট (Alernex 120 MG Tablet)...
রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় নিয়ে এই পার্ট এ আমরা আলোচনা করবো। কিন্তু এর আগে আমাদের জানতে হবে আমাদের এলার্জি আসলেও আছে কি না।
তো ঘরের মধ্যে ঘরে জমা ধুলো বালি পরিষ্কার করছেন হঠাৎ করে হাঁচি শুরু হলো।
এবং পরে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিংবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস খাচ্ছেন , চিংড়ি মাছ খাচ্ছেন , ইলিশ মাছ ও গরুর দুধ খাচ্ছেন হঠাৎ ই শুরু হলো গা চুলকানি।
অথবা চামড়ায় লাল লাল চাকা বর্ণ হয়ে ফুলে উঠেছে, এগুলো হলেই ধরে নিতে হবে যে আপনার এলার্জি রয়েছে।
রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় হলো যে কারণে আপনার এলার্জি হচ্ছে সেই কারণ গুলো শনাক্ত করে তা থেকে এড়িয়ে চলা।
রক্তে এলার্জি কমানোর জন্য এলার্জি হতে পারে এমন জিনিস থেকে এড়িয়ে চলা এবং ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এলার্জি এর ভ্যাকসিন ও এলার্জি জনিত রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি।
এ পদ্ধতি ব্যাবহারের ফলে কর্টিকোষ্টেরয়েডের ব্যাবহার অনেকটা কমে যায়। যার ফলে কর্টিকোষ্টেরয়েডের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এ, বিশেষ করে উন্নত দেশ গুলো তে এ পদ্ধতিতেই চিকিৎসা দেয়া হয়।
বর্তমান এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতি এর চিকিৎসাকে রক্তে এলার্জি জনিত রোগিদের দীর্ঘ মেয়াদি সুস্থ থাকার একটি মাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি বলে আক্ষায়িত করেছে।
এলার্জি কি কারনে হয়
অ্যালার্জি একটি জটিল রোগ। শিশু থেকে বৃদ্ধ— সব বয়সি মানুষ এই রোগে ভুগে থাকেন। অ্যালার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য এবং ওষুধের মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সামান্য অসুবিধা সৃষ্টি করে। আবার কারও ক্ষেত্রে জীবনকে বিষিয়ে দেয়।
অ্যালার্জি কেন হয়, এ রোগে সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অ্যালার্জি ও অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস।
হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট হলে অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর দুধ, বেগুন খেলেই শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলো হলে আপনার অ্যালার্জি আছে ধরে নিতে হবে।