বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন 30 দিনে

বাড়তি ওজন কমানোর পাঁচটি করণীয় কাজ 
বাড়তি ওজনের ক্ষতিকর প্রভাব সমূহ
বাড়তি ওজন নিয়ে আমরা অনেক চিন্তিত আমরা নানান কৌশলে কী করলে, কী কী না খেলে ওজন কমবে, কোন কোন খাবার ওজন কমায়, ডায়েট করতে চাইলে কীভাবে করতে হবে- নানা ভাবনা চিন্তা করতে থাকি এবং সেই অনুযায়ী গুগলে চলতে থাকে সার্চের পালা।












প্রথমত যে বিষয়টার প্তি আমাদের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে, সেটা হলো ভাত রুটির পরিমাণ একেবারে কমিয়ে আনতে হবে।সেক্ষেত্রে যেটা করতে হবে আপনাকে সকালে এক কাপ লাল চালের ভাত  অথবা দুটি রুটি খেতে পারেন সাথে ফল  সালাদ  থাকলে অসুবিধা নেই ।
দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড  ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
  • দুপুরে যদি ভাত খান সেক্ষেত্রেও লাল চালের এক কাপ ভাত ,পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি,  ভর্তা, এক টুকরো মাছ ও ডাল খেতে পারেন আর যদি রুটি খান সেখানে পাতলা দুটি রুটি খেতে পারেন।
  •  রাতে যদি খেতে চান তাহলে ভাত ও রুটি ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যদি কাঙ্খিত ওজনকমাতে চান তাহলে ভাত ও রুটির ব্যাপারে আপাতত কিছুদিনবন্ধরাখুন ।কাঙ্খিত ওজন আসার পর  রাতে আবার খাবার শুরু করতে পারেন কাঙ্খিত ওজন আসার পর আধা কাপ ভাত   রুটি খেতে পারেন।
  • বাড়তি ওজন অনেকদিন থেকে চেষ্টা করছেন কমাতে পারছেন না কেন কারণ যারা  সুন্দরতম অধিকারী তারা সন্ধ্যা ৭ - ৭.৩০  তাদের রাতের খাবার শেষ করে এবং আপনি রাতের খাবার সময়মত শেষ করতে পারলে আপনিও দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। 
যদি এখন আপনার মনে হতে পারে  ক্ষুধা লেগে যাবে যদি পরিকল্পিতভাবে সকালে কিছু বীজ ভিজিয়ে রাখবেন সাথে দুটি খেজুর ও কিছু বাদাম খেতে পারেন তাহলে ক্ষুধার অনুভূতি থাকবে না।
রাতে খাওয়ার সাথে মটরশুটি যোগ করুন এই মটরশুটি পেট ভরার ক্ষেত্রে অনুভূতি এনে দেয় এবং ক্ষুধা থেকে দূরে রাখে।

 রাতে খাওয়ার ঘন্টা দুয়েক পর  চার চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন ওজন দ্রুত কমিয়ে আপনি স্লিম ফিগারের অধিকারী হবেন কারণ  কাঙ্খিত ওজন একদম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন সে ক্ষেত্রে বাড়তি ওজনের দিকে নজর রাখতে হবে। 
  • একদিকে আপনি যখন প্রতিদিন জোর দিয়ে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটবেন আপনার যে সঞ্চিত চর্বি কমতে থাকলে আপনি দেখবেন  অবাক হয়ে বুঝতে পারবেন যে ওজন কমতে শুরু করেছে এগুলোর মধ্যে সবগুলো পুষ্টি রয়েছে যা মোটে দুর্বল হবেন না ।
মানুষ হচ্ছে মূলত তৃণভোজী প্রাণী ও কিছুটা মাংসাশী । প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি সকালে, দুপুরে, রাত্রে রাখবেন সালাদ সাথে বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার তাহলে পরিমাণমত এগুলো খেলে পেট ভরা বা ওজন কমানোর সাহায্য করে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মাঝে মাঝে মাসে দু একদিন মাংস খেতে পারেন তবে সেটা হতে হবে পরিমান মত এতে কোন অসুবিধা নেই।

তবে না খাওয়াই ভালো। পরিমাণমত খাবেন যেন আপনার শরীরে যেন কোন প্রভাবিত না করে।
আপনি হয়তো প্রতিদিন মাছ-মাংস খেয়ে যাচ্ছেন রাতের খাবারের সাথে কিন্তু হঠাৎ করে খাওয়াটা বন্ধ করতে পারবেন না ধীরে ধীরে কাঙ্খিত ওজন পাওয়ার জন্য এটা কমিয়ে আনতে হবে।
একটা সময় শুধু ওজন কমানোর ফলে অসাধারণ কর্ম জীবন উপভোগ করতে পারবেন ।

রাতের দাওয়াত এড়িয়ে চলুন 
দাওয়াতে অনেক খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে । আপনি হয়তো ভাবছেন একদিন তো খাচ্ছি আর খাব না মাসে তিনটি দাওয়াত থাকলে এভাবে খেতে থাকলে আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে।
পৃথিবীতে এখন দশটি মৃত্যু হওয়ার একটি মৃত্যু কারণ হচ্ছে  শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা কিছু করতে চায় না সারাক্ষণ শুয়ে বসে দিন কাটায়।

এখন পাঁচটি বর্জনীয় কাজ আপনার বাড়তি ওজন কমাতে  সহায়ক হবে।
এই পাঁচটি খাবার বর্জন করতে পারলে ওজন আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবে সারা জীবন।
 সাদা চিনি, সাদা ভাত,সাদা ময়দা এই তিনটি হল হোয়াট পয়জন এগুলো খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
 এগুলো পরবর্তী বিকল্প খাবার  লাল গুড়  লাল চালের ভাত ও লাল আটা খেতে হবে।

এছাড়া পোলাও ও কাচ্চি বিরিয়ানি সাথে তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে কাচ্চি বিরানী পোলাও  প্রচুর পরিমাণে তেল থাকে সাথে থাকে মাংস জাতীয় খাবার যা চর্বি প্রচুর পরিমাণে থাকে। 
তাই আমাদের বাড়তি জনের ক্ষেত্রে এগুলো ত্যাগ করতে হবে।
রেডমি খাবার হল গরুর মাংস খাসির মাংস।

মানুষ যেহেতু তৃণভোজী  প্রাণীর মতো প্রত্যেকদিন মাছ মাংস ও সপ্তাহে দুই তিন দিন রেডমি খান পৃথিবীর কোন পদ্ধতি আপনার স্থূলতা বা ওজন কমাতে পারবে না আপনার হৃদরোগ ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ হওয়াটা সময়ের ব্যাপার।

অতএব কাঙ্খিত ওজন না কমানো পর্যন্ত এগুলো নিয়ম করে চলতে থাকেন তাহলে কাঙ্খিত ওজন ঠিক হলে মাসে মাসে দু একদিন মাংস খেতে পারেন কাঙ্খিত ওজন না আসা পর্যন্ত এড়িয়ে চলা ভাল ।
সর্বোপরি ওজন কমানোর জন্য খুব খুব প্রয়োজন ফাস্টিং বা রোজা রাখা সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন রোজা রাখার চেষ্টা করুন এতে আপনার কাঙ্খিত ফল পেতে সহায়ক হবে।

অটোফেজি মানে হচ্ছে  শরীরের যে বাড়তি মেদ,বাড়তি ক্লোস্টেরল এবং বাড়তি টক্সিন শরীর থেকে বের করে দেয়এই বের করে দেওয়ার যে পদ্ধতি বিজ্ঞানীরা বলেছেন অটোফেজি।
 চমৎকার হয় যখন 12 ঘন্টা না খেয়ে থাকলে মিনিমাম, কেউ ১৬ ঘণ্টা ধারণ কাজ করে এমনকি যদি ২৪ ঘন্টা না খেয়ে থাকা এক্সিলেন্ট বলা হয়।

আপনি যদিএই পদ্ধতি অনুসরণ করেন তাহলে কাঙ্খিত ফল পাবেন এবং নিরাপদ থাকবেন।
কোমল পানীয় পান করা এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকেথেকে বিরত থাকতে হবে কোমল পানি এটা যতই খাবেন এটা কিন্তুক্ষুধা মেটাবে না বরং বাড়িয়ে দেয়।

অল্প খেয়েও সুস্থ এবং ওজন ঠিক রাখা যায়। এ কথা শুনে খুশি হবেন অনেকে। তবে এর জন্য খাবার থালার আকার, নকশা ও আয়তন সঠিক হতে হবে।
যে খাবারই খান না কেন থালা সঠিক হলে বেশি খাওয়া হবে না। একে বলে ‘পরসন কন্ট্রোল’।

প্লেটের আকার ছোট হলে খাওয়া হবে কম। গবেষণা প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, বড় বড় থালায় খেলে খাবারের পরিমাণে অসুবিধা হয়; বড় থালায় খাবার বেশি নিতে প্রলোভিত হয় মন।

কারণ বড় থালায় যদি কম খাবার থাকলে মন চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন আরও বেশি খাবার নিতে চায়। তাই বড় খাবার প্লেটের বদলে সালাদ প্লেটে খাবার খেলে চোখে ভ্রম হয়।
মনে হয় যে খাবার তো প্লেট ভরাই খাচ্ছি। অথচ পরিমাণে কম থাকে।এসব কৌশল পরখ করুন কাজ হতে পারে। কম খাবার, পুষ্টি বেশি ওজন কমবে।

মোটেই তিনদিন-পাঁচ দিনের অস্বাস্থ্যকর ডায়েট করা যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ে, পরিমিত খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
টক দই হজমে সাহায্য করবে। তাই খাওয়া শেষ করতে হবে টক দই দিয়ে। প্রতিটি জিনিসই এক কাপ করে খেতে হবে।

এ ডায়েট মেনে চললেই ৩০ দিনপর আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে। ওজন কখনো বাড়বেনা।
অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজগুলো করতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে নিয়মগুলো পালন করতে হবে।
যারা জানতে চান বা সঠিক নিয়মে চলতে চান তারা অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করবেন। 
করোনারি হৃদরোগ স্ট্রোক উচ্চরক্তচাপ টাইপটুডায়াবেটিস অস্টিও আর্থাইটিস এবং শ্বাসকষ্ট।


বাড়তি ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক কিছু করার চেষ্টা করছি

এভাবে নিয়মগুলো ফলো করলে আপনি প্রতি মাসে দুই থেকে তিন কেজি ওজন কমিয়ে আনতে পারবেন।

অতিরিক্ত ওজন  এর বেশি কমাতে গেলে আপনার ওজন পরবর্তীতে তার চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে ফলে কোনদিন ওজন ধরে রাখতে পারবেন না এতে মহাবিপদ নিয়ে আসতে পারেন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post