বাংলাদেশ থেকে অল্প খরজে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার ১০টি দেশ

বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার দশটি দেশ সম্পর্কে আমরা আজকে আলোচনা করব। 

এছাড়াও আপনারা এখান থেকে আরো বিভিন্ন পড়াশোনার জন্য যে তথ্য প্রয়োজন ওই সব তথ্য পেয়ে যাবেন। 

তাই আর বেশি কথা না বেরিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখে নিন আশা করব আপনাদের কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। 

https://www.banglanews247.xyz/2023/05/This-is-about-acne-scar-removal-medicine.html


বাংলাদেশ থেকে অল্প খরজে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার ১০টি দেশ

বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে বিদেশে উচ্চশিক্ষা পেতে যাওয়ার জন্য কিছু দেশের সাজেশন দেওয়া হতে পারে। নিচে বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা পাওয়ার জন্য অল্প খরচে ভাল পড়াশোনা সুযোগ প্রদান করে যে ১০টি দেশের উল্লেখ করা হলো:

১. ভারত: ভারত বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা পেতে সম্ভবতঃ সবচেয়ে সহজ ও অর্থসহ দেশ। প্রায় সমান ভাষা এবং সাংস্কৃতিক মিল থাকা কারণে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি সহজলভ্য।

২. নেপাল: নেপাল বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা প্রদান করে। নেপালে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যা বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মানসম্মত হতে পারে।

৩. থাইল্যান্ড: থাইল্যান্ড অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা প্রদান করে এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মান পর্যাপ্ত ভাল।

৪. মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়া একটি জনপ্রিয় গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ, যেখানে প্রয়োজনে অনেক বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষা সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়াতে শিক্ষা ব্যয় সম্পর্কে ভাল বিকল্প রয়েছে এবং এটি আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে পরিচিত।

৫. জাপান: জাপান হলো একটি উচ্চশিক্ষার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য। বাংলাদেশ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মানসম্মত প্রয়োজনীয় উচ্চশিক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হতে পারে এবং অনেক বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর প্রোগ্রাম রয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুযোগ প্রদান করতে পারে।

৬. সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুর প্রয়োজনীয় উচ্চশিক্ষা প্রদানের জন্য একটি গন্তব্য হিসাবে পরিচচিনির পরে। সিঙ্গাপুরে সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অবকাশপ্রদ উন্নতি হয়েছে এবং এটি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের সুযোগ সম্পর্কে পরিচিত।

৭. ইন্দোনেশিয়া: ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যেখানে বাংলাদেশ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অল্প খরচে পড়াশোনা সুযোগ রয়েছে। এটি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসাবে পরিচিত কারণ এটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

৮. পল্যান্ড: পল্যান্ড একটি ইউরোপীয় দেশ যেখানে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয়। পল্যান্ডে শিক্ষা মান পর্যাপ্তভাবে উচ্চ এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন অনুষদ ও কোর্স প্রদান করা হয়।

৯. জার্মানি: জার্মানি একটি জনপ্রিয় গন্তব্য দেশ যেখানে অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা সুযোগ রয়েছে। জার্মানি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মান উচ্চ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জার্মানি একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হতে পারে।

১০. চেক প্রজাতন্ত্র: চেক প্রজাতন্ত্র একটি উচ্চশিক্ষা দেশ যেখানে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা পেতে সুযোগ রয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রদান করে।

এইগুলি মাত্র কিছু উদাহরণ, যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা পাওয়া সম্ভব। একটি দেশে উচ্চশিক্ষা পেতে যাওয়ার আগে সর্বদাইক্য হলো আপনার আগেসম্পূর্ণ পরিচিতি নিশ্চিত করা।  

যাতে আপনি ইচ্ছাকৃত উচ্চশিক্ষার বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে পারেন। প্রতিটি দেশের উচ্চশিক্ষার নীতি, যোগ্যতা প্রয়োজন, ভর্তি প্রক্রিয়া, কর্মসূচি, বাসস্থান ও বিতরণ, শিক্ষার্থী সাপ্তাহিক খরচ ইত্যাদি নিয়ে ভালো ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। 

এছাড়াও অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞতা, সাক্ষরতার মান এবং উচ্চশিক্ষা সুযোগের বিষয়ে পরামর্শ পাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।


কোন দেশে টিউশন ফি সবচেয়ে কম

টিউশন ফি দেশ থেকে দেশে ভিন্নতা দেখায়। এমনকি, টিউশন ফি একই দেশের ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ভিন্ন হতে পারে। তবে, কিছু দেশে টিউশন ফি অত্যন্ত কম থাকতে পারে। নিচে কিছু দেশের উদাহরণ দেওয়া হলো যেখানে টিউশন ফি সবচেয়ে কম হতে পারে:

জাপান: জাপানের কিছু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি অত্যন্ত কম থাকে। জাপানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছরের টিউশন ফি প্রায় ১ লাখ ইয়েন (প্রায় $900) হতে পারে।

জার্মানি: জার্মানির কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করলে টিউশন ফি নেই বা অত্যন্ত কম হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছরে কেবলমাত্র ১০০-৩০০ ইউরো পর্যন্ত (প্রায় $110-$330) টিউশন ফি দিতে হয়।

নরওয়ে: নরওয়েতেও শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি বিশ্ববিদদ্যালয়ে টিউশন ফি খুব কম থাকতে পারে। নরওয়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র নিবন্ধন ফি প্রদান করতে হয়। 

সাধারণত, নিবন্ধন ফি প্রায় ৫০০-১০০০ নরওয়েজিয়ান ক্রোনে (প্রায় $55-$110) হয়। এছাড়াও, নরওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নিঃশুল্ক সাহায্য ও সুবিধা প্রদান করা হয়, যেমন মাসিক লাভ স্টিপেন্ড বা বিতরণ প্রদান।

এছাড়াও, কয়েকটি দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি টিউশন ফি নেই বা অত্যন্ত কম হয়, যেমন সুইডেন, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ইত্যাদি। 

এসব দেশে শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র নিবন্ধন ফি প্রদান করতে হয় বা শিক্ষার্থীদেরকে নিঃশুল্ক শিক্ষা প্রদান করা হয়।মনে রাখবেন, এই তথ্যগুলি পরিবর্তনশীল হত পারে। 


বিদেশে পড়াশোনার খরচ

বিদেশে পড়াশোনার খরচ সাধারণত বিভিন্ন উপায়ে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে এবং এটি প্রভাবিত হবে।  আপনার বর্তমান অবস্থা, বিদেশে কোথায় পড়াশোনা করতে চান, সময়কাল, বিদেশের অর্থনীতি, ব্যক্তিগত পছন্দ ইত্যাদি উপর ভিত্তি করে। 

তবে, আমি কিছু সাধারণত ধারণা দিতে পারি আপনার মাধ্যমে বিদেশে পড়াশোনার খরচ বিষয়টি নিয়ে:

১ . শিক্ষাগত খরচ (টিউশন ফি, কোর্স ফি, বই ও পাঠপুস্তক, পরীক্ষা ফি ইত্যাদি): পড়াশোনার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় টিউশন ফি, কোর্স ফি, বই ও পাঠপুস্তক ক্রয়, পরীক্ষা ফি ইত্যাদি থাকবে। 

এই খরচগুলো আপনার পড়াশোনা করতে যাওয়া দেশের শিক্ষাবিদের মধ্যে প্রতিবিম্বিত খরচের মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে।

২ . বাসা ও খাদ্য খরচ: বিদেশে পড়াশোনার জন্য আপনার বাসা ও খাদ্য পরিবেশ স্থাপন করতে হবে। আপনি একটি বাসায় বসবাস করতে পারেন নাইজেলান্ডে কি ভিত্তিতে ভাড়া নেওয়া বা শেয়ার রুমে থাকতে পারেন। 

সহজভাবে বলতে গেলে, বাসা ভাড়া, খাদ্য ক্রয়, স্বাস্থ্যকর রান্নাঘরের ব্যবস্থা, বিদেশী খাদ্যপণ্যের দাম, রেস্টুরেন্ট বিল ইত্যাদি বিদেশে পড়াশোনার খরচের একটি অংশ হতে পারে।

৩ . পরিবহন খরচ: আপনি কোন দেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন তা নির্ভর করে আপনার অবস্থান থেকে দূরত্বের উপর। আপনি উচ্চ যাত্রা খরচ মনে করতে পারেন, যেমন একটি বিমান টিকেট বা প্রয়াণত্তরের খরচ। 

আপনি পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করতে পারেন, যেমন বাস, ট্রেন, মেট্রো ইত্যাদি, যা বিদেশে পড়াশোনার খরচ কমাতে সহায়তা করতে পারে। 

এছাড়াও, যদি আপনি নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে চান বা গাড়ি ভাড়া নিতে চান, তবে কার খরচ, পার্কিং ফি, তল্লাশির খরচ ইত্যাদি আপনার পরিবহন খরচের অংশ হতে পারে।


বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা

বিদেশে পড়াশোনার জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন তা আপনার পড়াশোনা করতে চান বা কোন দেশে পড়াশোনা করতে চান তার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, সাধারণত একজন বিদেশে পড়াশোনা করতে নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলো প্রয়োজন:

১. প্রয়োজনীয় যোগ্যতা: প্রথমেই আপনার উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা পর্যাপ্ত হতে হবে। বিদেশে পড়াশোনা করতে অনেক দেশে অন্যতম ক্ষেত্রে আপনার উচ্চতর শিক্ষাগত ডিগ্রি প্রয়োজন। 

পড়াশোনা করতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্নাতক অথবা পরবর্তী পর্যায়ের ডিগ্রি অথবা সমকক্ষ ডিপ্লোমা প্রাপ্ত করতে পারতেন।

২.  ভাষা দক্ষতা: আপনার উদ্দেশ্যমত দেশের ভাষা দক্ষ হতে হবে। সাধারণত পড়াশোনা করার জন্য বিদেশে যাওয়ার আগে আপনাকে ভাষা পরিষ্কার করার বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য ভাষা দক্ষতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনি সেই দেশের ভাষায় সক্ষম হলে আপনার কমিউনিকেশন এবং পড়াশোনার জন্য সুবিধাজনক হয়ে থাকবে। 

অনেক দেশে প্রশাসনিক কাজে ভাষার জ্ঞান অবশ্যই প্রয়োজন হয়, যেমন ভিসা আবেদন করা, অনুমতি প্রাপ্তি, ব্যাংক কাজ, ভোটার নিবন্ধন ইত্যাদি। তাই প্রয়োজনে আপনাকে ভাষা শিক্ষা করার জন্য ভাষা প্রশিক্ষণ সংস্থা বা কোর্সে নিবন্ধন করতে হতে পারে।

৩. আর্থিক সমর্থন: বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সমর্থন প্রয়োজন। বিদেশে পড়াশোনার বাস্তবিকতা হলো স্কোলারশিপ, অনুদান, বৃত্তি, ব্যবহারিক কর্মসূচি বা অন্যান্য আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। 

এছাড়াও, বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য আপনার নিজের টিউশন ফি, বিষয়বস্তুর প্রয়োজনীয় সংগ্রহপত্র, জীবিকায় ব্যয় এবং বাস ব্যয় পরিচালনার জন্য আর্থিক সমর্থন প্রয়োজন হতে পারে। 

আপনি অনুমতি প্রাপ্তি করতে পারেন বা শিক্ষাসংস্থার সাথে চুক্তি করতে পারেন যেখানে আপনাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

৪. অনুগতকরণ প্রক্রিয়া: বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে আপনাকে সঠিক অনুগতকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এটি বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি জমা দিতে ও ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।

৫. স্বাস্থ্য যোগ্যতা: কিছু দেশে পড়াশোনার জন্য আপনার স্বাস্থ্য যোগ্যতা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। আপনাকে মেডিকেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হতে পারে এবং কোনও নিশ্চিত স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে আপনাকে অনুমতি দেওয়া হতে পারে না। 

এছাড়াও, কিছু দেশে আপনাকে ভাইরাস টিকা গ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে। স্বাস্থ্য যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য নিকটস্থ কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের নির্দেশানুযায়ী আবশ্যক সমস্ত পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করতে হবে।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post