সিজারের কতদিন পর মিলন করা যায় এছাড়াও আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য

সিজারের কতদিন পর মিলন করা যায় এছাড়াও আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে এই আর্টিকেলে তুলে ধরলাম। 

আশা করব আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন, এই আর্টিকেলে আপনাদের আমি সিজারের পর এবং সিজার নিয়ে কিছু তথ্য জানিয়ে দেব। 

যেটা আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে এবং আমি মনে করি প্রতিটি মানুষেরই এ বিষয়ে জানার থাকা খুবই জরুরী। 

তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। 

সিজারের কতদিন পর মিলন করা যায় সিজার এর ৯০ দিন পর থেকে যৌন মিলন করা উত্তম। 

স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা হওয়ার পর বা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার পর 40 দিন লাগে জরবায়ু সুস্থ হতে তাই 40 দিন পর থেকে মিলন করা যায়। 

সিজারের পর ও একই সিস্টেম তাই 40 দিন পর থেকে মিলন করা যাবে কিন্তু এখানে যে বিষয়গুলো আসে তা হল। 

পেটের কাঁচা স্থানের অবস্থা, শারীরিক কন্ডিশন, মানসিক কন্ডিশন, যৌন মিলনের সময় পেটে সাপের আঘাত, পুনরায় কনসে। 

তাই অবশ্যই এসব বিষয়ের উপরে মাথায় রাখায় তারপরে যৌন মিলন করাটা উত্তম না হলে এর থেকে হয়তো অনেক বড় ক্ষতিও হতে পারে। 

তাই ইত্যাদি বিষয়ে গুলো মনে রাখে ৯০ দিন অপেক্ষা করা পরে যৌন মিলন করা অনেক উত্তম। 

সিজারের কতদিন পর মিলন করা যায় এছাড়াও আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য

সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া উচিত?

সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া উচিত এ বিষয়টা আপনাদের জানা থাকা আসলেই ভালো না হলে হয়তো অনেক সময় অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। 

প্রথম সিজারের পর গর্ভবতী হওয়ার জন্য দুই বছর সময় দিতে হবে এক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের জন্য ভালো হবে এবং গর্ভধারণ শিশুর জন্য ভালো হবে। 

এতে করে বর্তমানে যে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা হচ্ছে সেও উপযুক্ত ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন এবং মায়ের দুধ ঠিকঠাক মত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

তাই প্রথম সিজারের পর কমপক্ষে ২ বছর সময় দিয়ে বাচ্চা নেওয়া উচিত, প্রথম সিজারের পর অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। 

এক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা উচিত যে প্রথম সিজারের পর মিনিমাম পাঁচ মাস ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

অধিক পরিমাণ হাঁটাচলা থেকে বিরত থাকতে হয় তাই অবশ্যই এই সিজার রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই চেষ্টা করবেন সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরেই বাচ্চা নেওয়া। 


সিজারের কতদিন পর দুধ খাওয়া যায়

সিজেরিয়ান ডেলিভারি হওয়ার পর প্রায় মায়ের দুধ খাবার পর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে দেখা যায়। 

সেটা বাড়ির মুরুব্বীদের পক্ষ থেকেই হোক বা কখনো স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফ থেকেই উপদেশ স্বরূপ হয়ে থাকে। 

কারণ হিসেবে অনেক রকমের সমস্যার কথা বলা হয় তার মধ্যে সেলাই শুকাবে না বা গ্যাস হবে আসলে কি তাই আসুন জেনে নেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা এ বিষয়ে কি বলে। 

দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য যেমন পনির দই সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ নেই আমিষ বা প্রোটিন ভিটামিন বি, ডি ও ক্যালসিয়াম আছে। 

যা কিনা মায়ের বুকের দুধ এর অপদান ও পুষ্টি বজায় রাখবে এবং মায়ের সুস্থতা ও দ্রুত আরোগ্য নিশ্চয় করবে এবং সিজারের বা ডেলিভারির ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য সহায়তা করবে। 

মা যদি দুধ না খান তবে এ সময়ে মায়ের শরীর থেকে ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণ শিশুর দুধ এ চলে যাবে, এবং মায়ের হার ক্যালসিয়াম হীন হয়ে পড়বে সহজেই যে কোন ফ্যাকচার ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা যায়। 


সিজারের কতদিন পর গরুর মাংস খাওয়া যাবে

আপনারা যারা সিজারের পরে গরুর মাংস খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে আমার এই আর্টিকেলটি করুন নিন। 

আপনারা যারা সিজারের পরে গরুর মাংস খেতে চান তারা অবশ্যই একটি জিনিস মনে রাখতে হবে গরুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে। 

আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে থাকে তাহলে আপনার গরুর মাংস খাওয়া ঠিক হবে না, তাছাড়াও যদি আপনার খুবই পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে দুই এক পিস খেতে পারেন। 

কিন্তু আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই গরুর মাংস খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। 

এছাড়াও আপনার সিজারের পরে অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও মেনে চলতে হবে, এ বিষয়ে আমার অন্য আরেকটি আর্টিকেলে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন। 

এছাড়াও আপনারা সিজারের পরে অবশ্যই ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিতে হবে আপনি কি খাবেন এবং কি খাবেন না। 


Unique Code wait
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post