রমজানের সময়সূচী ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, এবং রমজানের আরো বিস্তারিত কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের আমার এই আর্টিকেলটি করতেছি।
আপনারা যারা রমজানের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা এই আর্টিকেলে সবকিছুই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াও রমজানের আরো কিছু ফজিলত সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব আশা করব আপনাদের ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
রমজানের সময়সূচী ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গণনা সেহরির সময় ইফতারের সময় তারিখ
১ / ৪.৩৯ মি AM ৬.১৪ মি PM ২৪ মার্চ ২০২৩।
২ / ৪.৩৮ মি AM ৬.১৫ মি PM ২৫ মার্চ ২০২৩।
৩ / ৪.৩৬ মি AM ৬.১৫ মি PM ২৬ মার্চ ২০২৩।
৪ / ৪.৩৫ মি AM ৬.১৬ মি PM ২৭ মার্চ ২০২৩।
৫ / ৪.৩৪ মি AM ৬.১৬ মি PM ২৮ মার্চ ২০২৩।
৬ / ৪.৩৩ মি AM ৬.১৭ মি PM ২৯ মার্চ ২০২৩।
৭ / ৪.৩১ মি AM ৬.১৭ মি PM ৩০ মার্চ ২০২৩।
৮ / ৪.৩০ মি AM ৬.১৮ মি PM ৩১ মার্চ ২০২৩।
৯ / ৪.২৯ মি AM ৬.১৮ মি PM ১ এপ্রিল ২০২৩।
১০ / ৪.২৮ মি AM ৬.১৯ মি PM ২ এপ্রিল ২০২৩।
১১ / ৪.২৭ মি AM ৬.১৯ মি PM ৩ এপ্রিল ২০২৩।
১২ / ৪.২৬ মি AM ৬.১৯ মি PM ৪ এপ্রিল ২০২৩।
১৩ / ৪.২৪ মি AM ৬.২০ মি PM ৫ এপ্রিল ২০২৩।
১৪ / ৪.২৪ মি AM ৬.২০ মি PM ৬ এপ্রিল ২০২৩।
১৫ / ৪.২৩ মি AM ৬.২১ মি PM ৭ এপ্রিল ২০২৩।
১৬ / ৪.২২ মি AM ৬.২১ মি PM ৮ এপ্রিল ২০২৩।
১৭ / ৪.২১ মি AM ৬.২১ মি PM ৯ এপ্রিল ২০২৩।
১৮ / ৪.২০ মি AM ৬.২২ মি PM ১০ এপ্রিল ২০২৩।
১৯ / ৪.১৯ মি AM ৬.২২ মি PM ১১ এপ্রিল ২০২৩।
২০ / ৪.১৮ মি AM ৬.২৩ মি PM ১২ এপ্রিল ২০২৩।
২১ / ৪.১৭ মি AM ৬.২৩ মি PM ১৩ এপ্রিল ২০২৩।
২২ / ৪.১৫ মি AM ৬.২৩ মি PM ১৪ এপ্রিল ২০২৩।
২৩ / ৪.১৪ মি AM ৬.২৪ মি PM ১৫ এপ্রিল ২০২৩।
২৪ / ৪.১৩ মি AM ৬.২৪ মি PM ১৬ এপ্রিল ২০২৩।
২৫ / ৪.১২ মি AM ৬.২৪ মি PM ১৭ এপ্রিল ২০২৩।
২৬ / ৪.১১ মি AM ৬.২৫ মি PM ১৮ এপ্রিল ২০২৩।
২৭ / ৪.১০ মি AM ৬.২৫ মি PM ১৯ এপ্রিল ২০২৩।
২৮ / ৪.০৯ মি AM ৬.২৬ মি PM ২০ এপ্রিল ২০২৩।
২৯ / ৪.০৮ মি AM ৬.২৬ মি PM ২১ এপ্রিল ২০২৩।
৩০ / ৪.০৭ মি AM ৬.২৭ মি PM ২২ এপ্রিল ২০২৩।
রমজানের ফজিলত
বাসর ঘরে রহমত মাগফেরাত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে আবারও এসেছে পবিত্র মাহে রমজান।
শুরু হয়েছে সংগ্রাম সাধনার মাস খোশ আমদেদ মাহে রমজান আল্লাহ তায়ালার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের সেরা সময়।
এই মাসের ফজিলত অনেক আর এই ফজিলত পবিত্র কোরআন শরীফ হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে।
হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর।
যেন তোমরা পরহেজগারী অর্জন করতে পারো [ আল কুরআন]....
রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়েও বেশি ঘ্রাণযুক্ত [ আল হাদিস]....
ইফতার পর্যন্ত রোজাদারদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন [ আল হাদিস] ....
রোজাদারদের জন্য সজ্জিত করা হয় [ আল হাদিস]...
রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয় [ আল হাদিস]...
রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল[ আল হাদিস] রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের যোগ্য। [ আল হাদিস]....
রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম আল হাদিস রোজা কেয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য সুপারিশকারী হবে [আল হাদিস] ...
রোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন [ আল হাদিস]....
এভাবে আরো অনেক হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করা যেত কিন্তু আমি মাত্র এই কয়টায় আপনাদের জানালাম এছাড়াও আরো অনেক পুরস্কার রয়েছে রোজাদারদের জন্য।
যেটা আল্লাহতালা নিজ হাতে দেওয়ার ওয়াদা করেছেন তাই আমরা অবশ্যই রোজা রাখার জন্য চেষ্টা করব।
লাইলাতুল কদরের ফজিলত
মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে অন্য সব মাসের চেয়ে রমজান মাস বেশি ফজিলত ও বরকতময় হয়েছে।
আর রমজানের রাতগুলোর মধ্যে কোরআন নাজিলের রাত লাইলাতুল কদর সবচেয়ে তাৎপর্য ময় একটি রাত।
এই সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন আমি একে নাযিল করেছি কদরের রাতে তুমি কি জানো কদরের রাত কি , কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম সূরা কদর আয়াত ১ থেকে ৩।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসির কুল শিরোমনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন।
এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের এবাদত এর চেয়েও উত্তম। [ তানভিরুল মিক বাস মিন তাফসীরে ইবনে আব্বাস ৬৫৪ পৃষ্ঠা ]
তাবি মুজাহ [ র: ] বলেন এর ভাব অর্থ হল এই রাতের এবাদত তেলাওয়াত দুরুদ কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস এবাদত এর চেয়েও উত্তম।
মুফাসসিরীরা এমনই ব্যাখ্যা করেন আর এটি সঠিক ব্যাখ্যা ইবনে কাসির 18 খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা।
লাইলাতুল কদরের মর্যাদা
লাইলাতুল কদরের মর্যাদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই রাতটি পাওয়ার জন্য শেষ ১০ কে আজীবন এতেকাফ করেছেন।
উম্মতে মুহাম্মদীর উদ্দেশ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আমি কদরের রাতের সন্ধানে রমজানের প্রথম দশ দিন ইতিকাফ করলাম।
এরপর এতেকাফ করলাম মধ্যবর্তী দশ দিন, তারপর আমার প্রতি ওহী নাযিল করে জানালো জানানো হলো যে তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে।
সুতরাং তোমাদের যে ইতিকা পছন্দ করবে সে যেন এতেকাফ করে, তারপর মানুষ অর্থাৎ সাহাবায়ে একরাম তার সঙ্গে এতেকাফে শরিক হয়[ মুসলিম শরীফ] .
রমজানের পিক
আপনারা যারা মাহে রমজানের শুভেচ্ছা পিক খুঁজছেন তারা খুব সহজেই আমার এখান থেকে পেয়ে যাবেন।
আমি এখানে আপনাদের পছন্দের মত অনেক সুন্দর সুন্দর পিক দিয়েছি আশা করব আপনাদের আমার এই পিক গুলো অবশ্যই ভালো লাগবে।
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা মাহে রমজান এর সময়সূচী এবং শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
তারা হয়তো আমার এই আর্টিকেল থেকে জানতে সক্ষম হয়েছে আশা করব আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের অবশ্যই ভালো লেগেছে।
তাই মাহে রমজানের শুভেচ্ছা সবার জন্য এর সাথে সাথে আমার আর্টিকেলটি আজকের মতন এখানে শেষ করলাম সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।