মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং আরো আনুষাঙ্গিক

আমি আজকে আলোচনা করব মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং আরো আনুষাঙ্গিক বিষয় বস্তুর উপরে। আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যে থাকে, এজন্য আমরা যে দেশগুলোতে যায় সাধারণত এই দেশের মধ্যে পড়ে না। 

কেননা মরিশাস ভিসার কথা এবং সে দেশে কাজের কথা অনেকেই জানেনা, কিন্তু বর্তমান সময়ে মরিশাস কাজের জন্য অনেক বাংলাদেশী যেয়ে থাকেন। এবং ভালো বেতনে কাজ করেন বর্তমান সময়ে পূর্বের থেকে এখন আরো সহজ হয়ে গেছে মরিশাস যাওয়ার জন্য। তাই আপনারা যারা মরিশাস যেতে চান তারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জানুন কিভাবে যাওয়া যায়। 

বর্তমানে নতুন নতুন চুক্তি করছে মরিশাসে সাথে বাংলাদেশের আর শ্রমিক নিতে চায় বাংলাদেশ থেকে। এজন্যই আমি আজকে আলোচনা করব মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে, আশা করব আপনাদের আমার আর্টিকেলটি অবশ্যই ভালো লাগবে, তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা কিভাবে করতে হয় এবং আরো আনুষাঙ্গিক


মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা

মরিশাসে বর্তমানে বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিক সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে প্রায় 30 হাজার শ্রমিক কাজ করছে মরিশাসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করছে গার্মেন্টস ভিসা, বাংলাদেশ থেকে মরিচাস গার্মেন্টস বিষয়ে যেতে চাইলে পূর্বে আপনার বাংলাদেশ কোন গার্মেন্টসে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

মরিশাস বাংলাদেশের সরকারের মাধ্যমে কিছুদিন পর পর লোক নিয়োগ নিয়ে আবেদন করে, এবং বাংলাদেশ সরাসরি ইন্টারভিউ হবে। এটা দেখার জন্য আপনার আসলেই পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কিনা ইন্টারভিউতে সিলেট হলে সম্পূর্ণ সরকারি তত্ত্বাবধায়নে আপনি মরিশাস যেতে পারবেন। 

যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়া সরাসরি দেশের সরকারের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাই এখানে জালিয়াতের সম্ভাবনা খুবই কম। সে ক্ষেত্রে আপনারা মরিশাস যাওয়ার জন্য আগে বাংলাদেশের যেকোনো গার্মেন্টসে কাজ করতে হবে, এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আপনি ইন্টারভিউ দিতে গেলে সিলেক্ট হয়ে যাবেন। 

মরিশাস কাজের বেতন কত

এতক্ষণ আমরা মরিশাস দেশ সম্পর্কে মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে বিস্তারিত জানলাম, এখন আমরা দেখব মরিশাস কাজের বেতন কত। সাধারণত মরিশাস গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গেলে শুরুর দিকে আপনার বেতন হবে ১৩০০মরিশাস রুপি যা 300 ডলার। 

বাংলাদেশ টাকায় প্রায় 25000 টাকার মতন কিন্তু বর্তমানে ডলারের দাম বাড়ায় মরিশাস 300 ডলারে বাংলাদেশে 30000 টাকা পাবেন। তবে শুরুর দিকে 25000 অথবা 30000 বেতন হলো সময়ের সাথে সাথে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। 

এ ক্ষেত্রে সাধারণত এক বছর কাজ করার পর আপনার বেতন বৃদ্ধি হবে, 32 থেকে 35 হাজার টাকা তবে সবার ক্ষেত্রে যে বাড়বে বিষয়টা এমন নয়। আপনার দক্ষতা ও কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে বেতন বাড়ার সম্ভাবনা নেই, সেক্ষেত্রে আপনাকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে যদি সামনে আরো অগ্রসর হতে চান তাহলে। 

মরিশাস গার্মেন্টস ভিসা সবচেয়ে ভালো দিক হলো আপনার থাকা খাওয়া ও অফিসে যাতায়াত পুরোটাই সরকার বহন করবে। অর্থাৎ মাস শেষে বেতন এর প্রায় পুরো টাকাটাই আপনার পকেটের থাকবে, এছাড়াও কাজের ফাঁকে নাস্তা, ওভারটাইম করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া অসুস্থ হলে চিকিৎসা খরচ পাবেন অনেক কঠিন তাই আপনার বেতন নিয়ে অনিয়ম বা থাকা-খাওয়া নিয়ে কষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। 

মরিশাস চাকরি করার সুবিধা

পৃথিবীর যেকোন দেশে চাকরি করতে গেলে সে  দেশের ভাষা জানতে হয়, কিন্তু মরিশাস চাকরি করতে চাইলে না ইংরেজি ভাষা জানতে হয়। কেননা সে দেশে বেশিরভাগ মানুষই হিন্দি ভাষা বোঝে, তাই শুরুতে ইংরেজী না জানলেও চাকরি করতে বা চলাফেরা করতে কোন সমস্যা হবে না। 

কেননা হিন্দি ভাষা খুবই সহজ একটি ভাষা এই ভাষাটি কমবেশি সবাই বোঝে, কিন্তু ইংলিশ এই ভাষাটি অনেকেরই বুঝতে কষ্ট হয়। এছাড়াও বেশিরভাগ কোম্পানিতে থাকা খাওয়া ফ্রি অর্থাৎ বেতনের পুরোটাই আপনার নিজের হাতে থাকবে। 

থাকা খাওয়া ও যাতায়াত খরচ কম্পানি বহন করবে এছাড়াও মরিশাসে প্রচুর পরিমাণ বাংলাদেশ, এশিয়া মানুষ বাস করে। তাই কর্ম ক্ষেত্রে যে কোন সুবিধা-অসুবিধা ও সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাদের কাছ থেকে খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন। 

মরিশাস যাওয়ার সহজ উপায়

মরিশাস যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে কোন একটি এজেন্সির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, সাধারণত কোন দেশ থেকে যদি ভিসা ছাড়ে তার সবার আগে বড় বড় এজেন্সিগুলো খবর পায়। তাই আপনি যদি কোন ঝামেলা ছাড়াই নিরাপদ এবং সহজে ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে বিদেশ যাওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ কাজ করতে চান, সে ক্ষেত্রে ভালো মানের একটি এজেন্সির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। 

যদিও এর বিনিময়ে এজেন্সি আপনার কাছ থেকে কিছু টাকা নেবে তবে ইতিপূর্বে ভিসা প্রসেসিং এর অভিজ্ঞতা না থাকলে কোন একটি এজেন্সি সাহায্য নেয়া উচিত। এতে করে ভিসা আবেদনে কোন ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, সেতু আপনি খুব সহজেই ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারবেনা। এজেন্সির মাধ্যমে এপ্লাই যদি সঠিক হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post