চায়না কাজের ভিসা

চায়না কাজের ভিসা

প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব চায়না কাজের ভিসা সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই চায়না যেতে আগ্রহী। কিন্তু কীভাবে যাবেন বা যাওয়া যায় সে সম্পর্কে অবগত নয় তাই আপনাদের সাথে আজকে আমি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। 


চায়না কাজের ভিসা সম্পর্কে  তাছাড়া অন্যভাবেও যেতে চান যেমন চায়না স্টুডেন্ট ভিসা, এবং চায়না যেতে কত খরচ হয়। এসব সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনারা যারা চায়না যেতে চান তারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন এর থেকে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবে। 

চায়না কাজের ভিসা


আপনাদের চায়নায় যেতে হলে কি করতে হবে কারণ চায়না অনেকভাবেই যাওয়া যায় তার মাঝে অনেকেই কাজের জন্য চায়নায় থাকেন। যে অনেকে পড়াশোনার জন্য যেতে চায় অনেকেই চায়নায় টুরিস্ট হিসেবে যেতে চাই। তাই আপনারা কীভাবে যাবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আমি এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে। 


চায়না কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে চায়না যেতে হলে কি কি প্রয়োজন। এই সম্পর্কে আগে আপনি এই সম্পর্কে ভালো করে জানুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন আপনি কিভাবে যাবেন। 


চায়না ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস


আপনার যদি পাসপোর্ট থাকে নিম্নতম ৬ মাস থাকতে হবে তার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ব্যালান্স নিম্নতম এক থেকে দুই লক্ষ টাকা জনপ্রতি থাকতে হবে। তাছাড়া ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট বং ব্যাংক সলভেন্সী সার্টিফিকেট ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ইংরেজীতে অনুবাদ সহ। নোটারী কপি কোম্পানী প্যাড ও ভিজিটিং কার্ড ইংরেজিতে চাকুরীজীবীদের জন্য অফিস থেকে এনওসি লেটার। ভিজিটিং কার্ড ও অফিসের আইডি কার্ডের কপি ছবি ২ কপি ৩৩×৪৮ সাইজ রঙ্গিন  সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ম্যাট প্রিন্ট। 


চায়না যেতে কত টাকা লাগে


চায়না যেতে হলে আপনাকে যে টাকা আনতে হবে সে বিষয়গুলো হলো এম্বাসি ফি দীপঙ্কর এলাচ প্রসেসিং ফি ১০,০০০টাকা চায়না যাওয়ার থাকলে।  এম্বাসী ফি প্রসেসিং ফিঃ ১২,০০০ টাকা ইন্ডিয়া এবং নেপাল বাদে দুই দেশ ভ্রমন থাকতে হবে। চায়না ছযমাস মেয়াদ ডাবল এন্ট্রি ১৩,০০০ টাকা আগে চায়না যাওয়া থাকলে। এক বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ২২,০০০ টাকা আগে চায়না ডাবল এন্ট্রি ভিসা থাকতে হবে। 

দু্ই বছরের মাল্টিপল ভিসা ৩২,০০০ টাকা আগে এক বছরের মাল্টিপল ভিসা থাকতে হবে ভিসা প্রসেসিং সময়ঃ ৫ থেকে ১০ দিন। 

আর্জেন্ট ডেলিভারি নিতে চাইলে অতিরিক্ত ৩,০০০ টাকা দিতে হবে সময় ৩ দিন  শর্ত সাপেক্ষ ফ্রেশ পাসপোর্টে চায়না ভিসা করা হয়। 


চায়না স্টুডেন্ট ভিসা


চীন বর্তমান বিষের সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশ। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বকে তারাই নেতৃত্ব দিবে। আফ্রিকা থেকে ভারত উপমহাদেশ, আমেরিকা থেকে ইউরোপ সব দেশেই চীনা পণ্যের দাপুটে অবস্থান। 


ইদানীং কালে চীন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এ চীনের বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি স্থান দখল করে আছে। সারা বিশ্ব থেকেই এখন চীনে প্রচুর স্টুডেন্ট পড়তে আসছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল চীনা সরকার বিদেশী স্টুডেন্টদেরকে তাদের দেশে পড়তে স্কলারশিপ দিচ্ছে। 

চায়না কাজের ভিসা


এ স্কলারশিপের অধীনে কেউ সম্পূর্ণ টিউশন ফিস মওকুফ পাচ্ছে। আবার কেউ আবাসন পাচ্ছে। কেউ বা আবার দুটোই পাচ্ছে অর্থাৎ আবাসন ও টিউশন ফিস সম্পূর্ণ অথবা আংশিক মওকুফ পাচ্ছে। এদের মধ্যে  ভাগ্যবান অনেকে আবাসন টিউশন ফিসের সঙ্গে মাসিক স্টাইপেন্ড পাচ্ছে  এর অংকও নেহাত কম নয়। 


প্রতিমাসে ২৫০০ ইউয়ান থেকে ৩৫০০ পর্যন্ত পেয়ে থাকে। প্রতি ইউয়ানের দাম বাংলাদেশি টাকায় ১৩ টাকার মত প্রায়। এই তো গেল স্কলারশিপের কথা। কিন্তু চীনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ডিগ্রীর গ্রহণযোগ্যতাও সারা বিশ্ব জুড়ে। অর্থাৎ আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের জন্য এটি একটি বিশাল সুযোগ। তাই সকল সম্ভাবনাময় স্টুডেন্টরা এই বিষয়টি  ভেবে দেখতে পারেন।


চীনের শিক্ষা ব্যবস্থা


চীনের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয় চীনা এডুকেশন বোর্ড দ্বারা। দুই ধরনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এর একটি হল ইংরেজি মাধ্যম আরেকটি চাইনিজ। বিদেশি ছাত্ররা তাদের পড়াশুনা ইংরেজি বা চাইনিজে চালাতে পারবে। 


চীনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ১০০০ এর মধ্যে আছে যেগুলি বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করে আসছে। চীনা সরকার জাপান, আমেরিকা,ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ আরও ৬৫ দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল এগ্রিমেন্ট করেছে, ফলে  চীনা ইউনিভার্সিটিগুলির সার্টিফিকেটের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।


চীনের কিছু ইউনিভার্সিটির নাম


গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন স্টাডিজ

নানজিং নরমাল ইউনিভার্সিটি

চীনা ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড ল

সাউথেস্ট জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি

সাউথ চীনা নরমাল ইউনিভার্সিটি

বেইজিং ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি

জিয়াংশু ইউনিভার্সিটি

শেনজেন ইউনিভার্সিটি

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post