সিঙ্গাপুরে জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি

সিঙ্গাপুরে জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি

প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সিঙ্গাপুর জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি। আমরা প্রবাশে অনেক সময় অনেক ভিসার আবেদন করি এবং বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য একটাই আমাদের পরিবার স্বজন নিয়ে ভালো থাকার জন্য। এ জন্য আপনার আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রে যেতে চাই তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে আলোচনা করবো সিঙ্গাপুর জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি। 


সিঙ্গাপুর জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কয়েক ধরনের তাই আপনারা যারা সিঙ্গাপুর জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় খুঁজছেন। তারা আমাদের এই পোস্টটি পুরোটা পড়ুন তাহলে অবশ্যই আশা করি জানতে পারবেন সিঙ্গাপুর জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি। 


এবং সিঙ্গাপুর জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কারা যেতে পারবে যেতে হলে কে কোন ধরনের জব করতে পারবে। সিঙ্গাপুরে এসব বিষয়ের উপরে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করো তাই আমাদের এই পোস্টটি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সহজ উপায় কি পুরোটা পড়ুন। 

সিঙ্গাপুরে জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি


সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা পাঁচ ধরনের

১] সিঙ্গাপুরে প্রফেশনাল বা পেশাজীবী ভিসা


এম্প্লয়মেন্ট পাস যোগ্যতাসম্পন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ম্যানেজার এবং এক্সিউটিভ ইত্যাদি এ ধরনের পেশাজীবী মাসিক বেতন ন্যূনতম ৩৩০০ সিঙ্গাপুরি ডলার অর্থাৎ তাদের বেতন ২ লাখ টাকার উপরে।  এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিক এটি মূলত যারা সিঙ্গাপুরের নতুন ব্যবসা খুলতে চাচ্ছেন তাদের জন্য। এছাড়াও আরো আছে পার্সোনালিটি এম্প্লয়মেন্ট বেতনভুক্ত এম্প্লয়মেন্ট পাস ধারণকারী ও বৈদেশিক প্রফেশনাল যেমন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার আইনজীবী ইত্যাদি ধরনের। 


২] দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা


সিঙ্গাপুরে এস পাস ভিসা এ ধরনের ভিসার মাধ্যমে এন্ট্রি লেভেলের দক্ষ কর্মী তাদের নিম্নতম বেতন ২২০০ সিঙ্গাপুরি ডলার অর্থাৎ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা প্রায়। এম ও এম এর নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মী এছাড়াও রয়েছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। 


অদক্ষ কর্মী ছাড়া তাদের জন্য হোটেল ক্লিনার কন্ট্রাকশন মেশিনারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে তাছাড়া আরও রয়েছে সিঙ্গাপুরের গৃহকর্মী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। সাধারণত সিঙ্গাপুরে বাসা বাড়িতে কাজের জন্য এধরনের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়। এছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক গৃহকর্মী বিদেশি শিল্পীদের বার হোটেল বা নাইট ক্লাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য পারমিটের ব্যবস্থা আছে সিঙ্গাপুরে। 


৩] সিঙ্গাপুরে পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিসা


স্থায়ী বাসিন্দা এম্প্লয়মেন্ট পাশ ও এস পাশ ভিসা ধারীদের পরিবারের সদস্যদের যেমন বউ স্বামী ছেলে এবং মেয়ে তারা শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ডিপেন্ডন্ট ভিসা লাভ করে থাকেন। তবে এর জন্য তাদেরকে শর্ত পূরণ করতে হবে তাদের দীর্ঘ মেয়াদের ভ্রমণ পাস অর্থাৎ লংটাইম ভ্রমন ভিসা পাসপোর্ট দেওয়া হয়ে থাকে।


৪] সিঙ্গাপুরে স্টুডেন্ট ভিসা


বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির যাবতীয় কাগজপত্র জমা করতে হবে। 


৫] সিঙ্গাপুরে অন্যান্য ভিসা


অল্প সময়ের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত আর তার সর্বোচ্চ সাত দিন কাজের জন্য বিদেশী নাগরিকদের মিসলেনিয়াস সরকার ভিসা দিয়ে থাকে। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য সিঙ্গাপুরে জনশক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের জনশক্তি মন্ত্রণালয় এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 

সিঙ্গাপুরে জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি


সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসার জন্য কি কি জানতে হবে


আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করতে যাচ্ছেন সে কোম্পানির বিশ্বের ধরন সম্পর্কে বেসিক রেট প্রতি বছরই রেনিউ করা যাবে কিনা। এজন্য কোন শর্ত আছে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে আপনার পরিচিত কোন লোক যদি সিঙ্গাপুরে থাকেন। তাহলে তাকে দিয়ে উক্ত কোম্পানিতে ভিজিট করে অর্থাৎ খোঁজখবর নিয়ে সবকিছু ঠিক আছে কিনা তা চেক করতে পারেন। ভিসা পরবর্তী সময় কি কি সেবা পাবেন তা অবশ্যই জেনে নেবেন।


সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার


সিঙ্গাপুর দক্ষ এবং অদক্ষ এই দুই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে যদিও এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দিতে সারাদেশে ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন কারিগরি সেন্টার থেকেও প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ আছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এসব পরিচালনা করে থাকেন। 


এখানে মাত্র ২০০ টাকা ফি দিয়ে ভর্তি হওয়া যায় তবে বিশ্বাসযোগ্যতা ও জানার অভাবে প্রায় সবাই দ্বারস্থ হন। বেসরকারি ট্রেনিং সেন্টার গুলোতে এখানে ওয়ার্কিং অর্থাৎ ওয়াললিং প্রাইস বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। তবে অনেকে মিথ্যা বেতনের সুযোগ-সুবিধা কথা বলে প্রতারিত করছে এর থেকে সাবধান হতে হবে আপনাদের। 


সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা


সিঙ্গাপুরের ভিসা কত টাকা তা অনেকেই জানতে জান তবে বিভিন্ন কাজের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরের ভিসার দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য সাধারণত সিঙ্গাপুরের ভিসার দাম হয়ে থাকে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা। এবং ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে এখানে সাধারণত কাজ করতে পারে। অদক্ষ কর্মী যারা হোটেল ক্লিনার কন্ট্রাকশন মেশিনারি সেবামূলক কাজ তারা করতে পারবে অথবা কর্মীদের জন্য সরকার পারমিট ভিসা নিতে পারবে।

সিঙ্গাপুরে জব ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় কি


সিঙ্গাপুর সরকার কেন এত প্রবাসী চাচ্ছেন


করোনার সময় সিঙ্গাপুরে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তাই সিঙ্গাপুর সরকার চাচ্ছে ২০২২ এ তারা প্রবাসীদের নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে কাজগুলো আছে সেগুলো করে নিয়ে২০২২ সালের মধ্যে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে তাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। 


করণাআর কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার এর জন্য সিঙ্গাপুরে অনেক প্রবাসীদের চাচ্ছেন বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে। আগে বাংলাদেশ থেকে যত লোক নিয়ে যাওয়া হতো এবার তার হার অনেক বেড়ে যাবে। কেননা সিঙ্গাপুরের অনেক বেশি শ্রমিক দরকার বাংলাদেশের থেকে সিঙ্গাপুরের শ্রমিক নেবে এটা আপডেট খবর। 


সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসা


সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসা তে কাজ করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে অথবা যেখান থেকেই সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান না কেন ড্রাইভিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। এবং ড্রাইভিং এর উপর ট্রেনিং নিয়েছেন সেটার একটি সার্টিফিকেট কপি থাকা লাগবে তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। 


সিঙ্গাপুরে কাজ কিভাবে খুলবেন


বর্তমানে সিঙ্গাপুরে কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করণা মহামারীর পর থেকে সে দেশে কাজের চাহিদা অনেক অংশেই বেড়ে গিয়েছে। যেমন ক্লিনিং পদে বর্তমানে ব্যাপক হারে লোক নিয়োগ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে নেওয়া হচ্ছে। 


তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে নতুনভাবে ক্লিনিক পদে লোক নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিঙ্গাপুর প্রবাশি মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ থেকে নতুন ভাবে নিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সেই তুলনায় সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য লেখার উপরে মিনিমাম একটি ট্রেনিং অবশ্যই থাকতে হবে। 


আর যদি ট্রেনিং থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন যারা সিঙ্গাপুরে বর্তমানে অবস্থান করছেন। তারা যদি কাজ করতে চান তাদের কোম্পানির বাহিরে তাহলে তারা অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের সাথে কাজ করতে পারবে তবে অবশ্যই আপনি যে কোম্পানিতে বর্তমানে অবস্থান করছেন সেই কোম্পানি থেকে আপনাকে অব্যাহতি নিতে হবে। তাহলে আপনি অন্যান্য কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। তাছাড়াও যদি আপনি পার্ট টাইম কাজ করতে চান তাহলে তাদের জব ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সিবি জমা দিতে হবে এর মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post