রেফার করে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ || টিকটক আইডি রেফার করার নিয়ম

রেফার করে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

টাকা আয় করার apps: বন্ধুরা, বর্তমান সময়ে গুগল প্লে স্টোরে আমরা নানান ধরণের apps পেয়ে থাকি যেগুলোর মাধ্যমে টাকা আয় করা যেতে পারে।


এই apps গুলো হয়তো আমাদের bank account, Paytm account, mobile recharge, coupon ইত্যাদি হিসেবে আয় করা টাকা দিয়ে থাকে।


তবে মনে রাখবেন, প্লে স্টোরে থাকা এই বিভিন্ন money earning android apps গুলোর প্রত্যেকটাই কিন্তু ভালো হতে হবে বলে কথা নেই।


টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলোর মধ্যে অনেক এমন অ্যাপ (apps) রয়েছে, যেগুলো কাজ হওয়ার পর আপনাকে টাকা দিয়ে থাকেনা।


তাই, এই ধরণের অ্যাপস (apps) এর মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে আপনাদের সতর্ক থাকা দরকার।


তাছাড়া আমি আগেই বলে দিচ্ছি যে, অনলাইনে টাকা আয় করার অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে আপনারা তেমন বেশি টাকা আয় করতে পারবেননা।


মানে, এই ধরণের apps গুলো আপনার প্রচুর সময় নষ্ট করে কেবল সাধারণ পরিমানের টাকা আপনাকে দেয়।


তাই, আমি কখনোই এই ধরণের apps এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার পরামর্শ আপনাকে দিবোনা।


তবে, আপনি যদি নিজের খুশি এবং ইচ্ছের থেকে কিছু ভালো এবং ট্রাস্টেড টাকা ইনকাম apps গুলোর বিষয়ে জেনেনিতে চাচ্ছেন,


তাহলে নিচে আমি বর্তমানের সেরা ১১ টি android apps এর বিষয়ে বলে দিচ্ছি, যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা কিছু হলেও ইনকাম করতে পারবেন।


Apps গুলোর ওপরে ইন্টারনেটে থাকা review, comments এবং ratings এর ওপরে নির্ভর করেই আমি এগুলোর বিষয়ে আপনাকে বলছি।


তাহলে চলুন, নিজের মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু সেরা এন্ড্রয়েড অ্যাপ গুলোর বিষয়ে জেনেনি।


Post Contents

সেরা 9 টি টাকা ইনকাম করার অ্যাপ – (Android app থেকে আয়)

আমি কখনোই টাকা আয় করার apps গুলো ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকিনা।


কারণ, এই ধরণের apps গুলো আপনার সময় প্রচুর পরিমানে নষ্ট করে থাকে।


তবে, আপনার কাছে যদি প্রচুর সময় রয়েছে, তাহলে অবশই এই apps গুলো ব্যবহার করে কিছুটা পার্ট-টাইম ইনকাম অবশই করে নিতে পারবেন।


ইন্টারনেটে থাকা রিভিউ এবং কমেন্ট গুলো পড়ার পর, আমি বুঝতে পেরেছি যে,


প্রচুর housewives, retired persons, students ইত্যাদি এই ধরণের android apps এর মাধ্যমে কিছুটা part-time income করে নিচ্ছেন।


তাই, আপনিও এই apps গুলো ব্যবহার করে কিছুটা অবশই আয় করে নিতে পারবেন।


9 best android apps to earn money part-time

যেগুলো এপস আমাদের টাকা আয় করার সুযোগ দেয়, সেগুলোর একটি বেসিক কনসেপ্ট রয়েছে।


এখানে মূলত app referral, গেম খেলে, app install, survey, ভিডিও দেখে ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলো আপনাকে করতে বলা হবে।


কাজ গুলো সঠিক ভাবে করার পর, আপনাকে কিছু টাকা দেওয়া হবে।


চলুন বন্ধুরা, এবার এক এক করে প্রত্যেকটি “টাকা ইনকাম apps” গুলোর বিষয়ে আমরা জেনেনেই।

Meesho app (online reselling app)

Google opinion rewards

Poll Pay

Current rewards – (গান শুনে এবং গেম খেলে আয় করুন)

Roz Dhan 

TaskBucks

CashBuddy

Earn Talktime

Pocket Money

চলুন, এবার আমরা প্রত্যেকটি এপস গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।

Pocket Money

Pocket Money হলো একটি জনপ্রিয় এবং বিস্বাসী android app যেটার রেটিং গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে ৪.২.

এখানেও আপনারা বিভিন্ন আলাদা আলাদা tasks গুলোকে সম্পূর্ণ করে rewards গ্রহণ করতে পারবেন।

Pocket money app এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন apps গুলোকে ডাউনলোড করে ইনকাম করতে পারবেন।

Tambola Game খেলুন এবং টাকা আয় করুন।

Refer & Earn এর মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের দ্বারা এই app ইনস্টল করিয়ে প্রত্যেক দিন Rs.১৬০ টাকা আয় করুন।

 weekly contests গুলোতে যোগদান করে দারুন উপহার পেয়ে যেতে পারবেন।

বিভিন্ন survey গুলোকে সম্পূর্ণ করেও আপনার ইনকাম হবে।

আপনি আপনার আয় করা টাকা গুলো “Mobile Recharges” এবং “paytm transfer” এর মাধ্যমে redeem করতে পারবেন।


Meesho app

Meesho হলো একটি product reselling app যেটা ব্যবহার করে সত্যি unlimited টাকা আয় করা সম্ভব।

এখানে, সব রকমের clothing products রয়েছে যেমন, sarees, kurta, ladies tops, suits ইত্যাদি।

এই  প্রোডাক্ট গুলোকে আপনারা আবার resell করে টাকা আয় করতে পারবেন।

Android app টি নিজের মোবাইলে ডাউনলোড ও ইনস্টল করার পর, একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

এবার, যেও প্রোডাক্ট আপনারা অন্যান্য বেক্তিদের বিক্রি করতে চাচ্ছেন, সেটাকে সিলেক্ট করুন।

প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার পর আপনি সেটা যেই দামে বিক্রি করতে চাচ্ছেন সেটা দিয়ে দিতে হবে।

এবার শেষে, আপনি আপনার product এর লিংক বিভিন্ন social media apps বা platform গুলোতে শেয়ার করতে পারবেন।

যদি আপনার শেয়ার করা প্রোডাক্ট কেও কিনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে order করেন,

তাহলে meesho তরফ থেকে সেই প্রোডাক্ট এর ডেলিভারি করিয়ে দেওয়া হবে।

এবং, product এর আসল দাম meesho নিজের কাছে রেখে আপনাকে আপনার দাম দিয়ে দিবে।

এর মাধ্যমে আপনারা নিজের ঘর থেকেই ই-কমার্স ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।

এবং, সব থেকে দারুন বেপার এটাই যে, আপনার নিজের কাছে কোনো ধরণের স্টক (stock) রাখতে হবেনা।

Google opinion rewards

Google survey team এর দ্বারা তৈরি এই reward app এর মূল উদ্দেশ্য হলো লোকেদের বিভিন্ন সার্ভেতে (survey) অংশ গ্রহণ করানো।

App টি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার পর আপনাকে নিজের বিষয়ে কিছু সাধারণ details দিয়ে দিতে হবে।

এবার, প্রত্যেক সপ্তায় সপ্তায় আপনাকে কিছু survey পাঠানো হবে।

এই সার্ভে গুলোতে অংশ গ্রহণ করে সেগুলোকে সম্পূর্ণ করলে আপনি প্রায় $1 পর্যন্ত গুগল প্লে ক্রেডিট পেতে পারবেন।

চিন্তা করবেননা, একবার আপনি app টিকে ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার পর, প্রত্যেক নতুন সার্ভের নোটিফিকেশন আপনি পেতে থাকবেন।


Poll Pay

এটাও একটি দারুন সার্ভে করে অনলাইনে টাকা আয় করার অ্যাপ।

এখানেও আপনাকে বিশেষ কিছু করতে হবেনা।

সোজা, কিছু সাধারণ সার্ভে গুলোর উত্তর জমা করুন এবং মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করুন।

এই cash app থেকে ইনকাম করা টাকা আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে তুলতে পারবেন।

যেমন, PayPal Cash, free voucher, coupons, Amazon gift cards.

Real rewards এবং free gift cards গ্রহণ করার জন্য কেবল নিজের ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করতে হবে।

সার্ভে গুলোর মধ্যে আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের পরামর্শ এবং উত্তর দিতে বলা হবে যেটা জেকেও দিতে পারবে।


Current rewards

আপনারা শুনেছেন হয়তো যে, বর্তমানে গেম খেলে টাকা আয় করার বিভিন্ন apps রয়েছে।

হে, এটাও এমন একটি android app যেটার মাধ্যমে মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার কথা বলা হয়েছে।

তবে কেবল গেম খেলেই নয়, আপনারা এই apps এর মাধ্যমে গান শুনেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এমনিতে, আমি নিজেই এই app ব্যবহার করে দেখিনি। তবে, গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপ এর বিষয়ে এটাই লিখা আছে।

৪.৪ রেটিং এর সাথে প্লে স্টোরে থাকা এই অ্যাপ টিতে refer & earning এর সুযোগ অবশই দেওয়া হয়েছে।

মানে, app টিকে refer করলে ৫% চিরকালের জন্য পেতেই থাকবে বলে বলা হয়েছে।

তাছাড়া, cashbacks, weekly giveaways, lock screen rewards এর মতো অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করার। 


Roz Dhan

এই app টিকে Best Money Earning App হিসেবে বলা হয়।

কারণ, এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রায় অনেকেই প্রচুর টাকা আয় করেছেন বলে ইন্টারনেটে প্রচুর রিভিউ রয়েছে।

প্রথম বারের জন্য Roz Dhan app এর মধ্যে লগইন করার সাথে সাথে আপনাকে Rs.50 টাকা দেওয়া হবে।

তাছাড়া, নিজের বন্ধুদের এই apps টিতে রেফার করেও আপনি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার referral করা link বা code এর মাধ্যমে এই app এর মধ্যে login করা প্রত্যেক user এর বিপরীতে আপনাকে ₹12 দিয়ে দেওয়া হবে।

এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের Instant Cash Tasks রয়েছে যেগুলো করে সাথে সাথে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

আপনার আয় করা টাকা আপনি Paytm account এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন।

App install, play games, read news, check daily horoscope, walking task, Puzzle Task এবং complete survey tasks,

এই ধরণের কাজ গুলো করে এখানে টাকা আয় করতে পারবেন।


TaskBucks

এই android application এর মাধ্যমে ইনকাম করার প্রচুর উপায় রয়েছে।

এখানে আপনারা, Quiz খেলে, গেম খেলে, বিভিন্ন ধরণের টাস্ক সম্পূর্ণ করে এবং লোকেদের invite বা refer করে টাকা আয় করতে পারবেন।

টাকা আয় করার apps গুলোর মধ্যে সব থেকে সেরা এই app টিকে বলা হয়েছে।

আপনি এখানে আয় করা coins গুলোকে paytm cash বা free mobile recharge হিসেবে তুলতে পারবেন।

তাছাড়া, daily contests গুলোতে যোগদান করে ফ্রি মোবাইল রিচার্জ পাওয়ার কোথাও এখানে বলা হয়েছে।

Google play store এর মধ্যে এই app এর রেটিং রয়েছে ৪.১.


CashBuddy

এটা হলো একটি social app যেখানে আপনারা কিছু সাধারণ কাজ গুলো করে টাকা আয় করতে পারবেন।

যেমন, sharing Pics & GIFs, installing & registering free android Apps, Games & Websites ইত্যাদি।

এছাড়াও, cashbuddy মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে শপিং করে প্রচুর cashback আদায় করতে পারবেন।

আয় করা টাকা আপনারা Paytm, Amazon এবং Flipkart cash এর মাধ্যমে redeem করতে পারবেন।

শেষে, Invite and Earn এর সুবিধে তো রয়েছেই যেটার মাধ্যমে আপনারা app টিকে রেফার (refer) করে আয় করতে পারবেন।


Earn Talktime

এই অ্যাপ এর মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য মূলত refer & earn এর option রয়েছে।

আপনি নিজের referral link বা code এর মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের এই app টিতে যোগ করিয়ে income করতে পারবেন।

তাছাড়া, app টির থেকে সোজা শপিং করলেও প্রচুর cashback পেয়ে যাবেন।

অ্যাপস (apps) ডাউনলোড করে টাকা আয় করার সুবিধাও এখানে দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন, free android apps গুলো নিজের মোবাইলে ডাউনলোড করে ব্যবহার করার বিপরীতে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে।

অ্যাপ থেকে আয় করা টাকা আপনারা “Prepaid Recharge”, “DTH Top-up”, “Postpaid mobile bill payment” এবং “Shopping Vouchers” হিসেবে redeem করতে পারবেন।


আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি best money earning android apps নিয়ে লিখা আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগেছে।

মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ (apps) এমনিতে প্রচুর পেয়ে যাবেন।

তবে, app গুলোতে কাজ করার পর সেগুলো আপনাকে টাকা দিবে কি না, সেটাই হলো সব থেকে বড় প্রশ্ন।

তবে, ইন্টারনেটে বিভিন্ন review এবং comments দেখার পর আমি ওপরে এই, টাকা ইনকাম apps গুলোর বিষয়ে লিখেছি।

আমি নিজেই apps গুলো ব্যবহার করে দেখিনাই, তাই apps গুলো আপনাকে সঠিক ভাবে payment করবে কি না সেটা কিন্তু আপনার নিজেই দেখতে হবে।

তাছাড়া, যদি আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগেছে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।

এবং, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।


টিকটক আইডি রেফার করার নিয়ম

টিকটক থেকে আয়: আপনি অবশ্যই টিকটক ভিডিও দেখেছেন, তবে আজ আমরা TikTok থেকে টাকা ইনকাম করার ৫ টি উপায় সর্পকে জানব? আপনি নিশ্চই টিকটক থেকে আয় করার উপায় জানতে এখানে এসেছেন।  ইউটিউবের মতো টিকটকে উপার্জনের কোনও বিজ্ঞাপন শো নেই, তবে এখান থেকে অর্থ উপার্জনের উপায় কী?


এখনই Tiktok Video গুলি ট্রেন্ডিং চলছে এবং প্রচুর লোক বিশেষত তরুণ প্রজন্ম এটি ব্যবহার করছে। এই এপটির জনপ্রিয়তা এটির দ্বারা অনুমান করা যায় যে প্লেস্টোর থেকে এখন পর্যন্ত 200 মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে।


আপনি কি জানেন যে, টিকটক থেকে আপনি প্রচুর অর্থোপার্জন করতে পারবেন? না জানলে আপনি আমার পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। টিকটক একটি ভালোটাকা আয় করার apps। তবে প্রথমে আপনাকে এটির বেসিক টিকটক কী হায় এবং কীভাবে টিকটকে ভিডিও বানাবেন তা বুঝতে হবে।

TikTok এপটি ডাউনলোড করলে পাবেন ২৫০ টাকা বোনাস। নিচের নিয়ম অনুসরন করুন -


টিকটক এপটি ডাউনলোড করুন - https://vm.xzcs3zlph.com/ZGJUdEeUb/

আপনার ফোনে Install করার পর মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল দিয়ে সাইনআপ করুন। 

টিকটক রেফার করে ইনকাম

টিকটক রেফার করে ইনকাম


BD931662571

এবার BD931662571 এই রেফার কোডটি বসিয়ে Confirm এ ক্লিক করুন। দেখতে পাবেন আপনার একাাউন্ট ব্যালেঞ্চ এ ১০০০০ পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। 


টিকটক থেকে আয়

TikTok (Musical.ly) কি?

TikTok একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরির অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে আপনি র্সট মিউজিক ভিডিও, ডায়লগ, কমেডি ভিডিও তৈরি করে অন্যকে বিনোদন দিতে পারেন। এই এপ এর মাধ্যমে আপনি 3 থেকে 15 সেকেন্ডের ছোট ভিডিও তৈরি করতে এবং আপলোড করতে পারেন।


TikTok এর আগের নাম ছিল Musical.ly এবং সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে একটি চীনা সংস্থা "ডুইন" Musical.ly কিনেছে এবং এটির সাথে এটি একীভূত করেছে এবং নাম দিয়েছে টিকটক ইংরেজিতে TikTok।এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে আপনি অনেক গান এবং সংলাপ পাবেন, যার মাধ্যমে আপনি মোবাইল থেকে ভাল ভিডিও বানাতে পারবেন এবং সেখানে সম্পাদনার বিকল্পও রয়েছে।


এর ভিডিওগুলি বেশ সংক্ষিপ্ত এবং বিনোদনমূলক, তাই এই এপটি খুব দ্রুত বিশ্বের খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইউটিউবের মতো, আপনি টিক টকে ভাল মজার ভিডিওগুলি আপলোড করে আরও অনুসারী তৈরি করতে পারেন এবং এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।


উদাহরণ: বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় সেলিব্রেটি পৃর্ণিমা, রিয়াজ, আরিশফা আরফান নিশু মতো জনপ্রিয় সেলিব্রিটি, যাদের অনুসারী প্রায় ১ মিলিয়ন এবং তারা এ থেকে ভাল আয় করেন।


টিকটক রেফার করে আয় ২০২১

৫ পদ্ধতিতে বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম

পিটিসি সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে মাসে ২০০০০ টাকা ইনকাম


TikTok app কীভাবে ইনস্টল করবেন?

টিকটক থেকে আয় করতে হলে আপনাকে এটটি উউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। আমরা এ পোষ্টে সবকিছু স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব। আশা করি পুরু পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

আপনার মোবাইলে টিকটক (TikTok) অ্যাপটি ইনস্টল করতে এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

এখানে সবুজ রঙের ইনস্টল বোতামে ক্লিক করুন।

TikTok অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল হওয়ার সাথে সাথে আপনি ওপেন বোতামে ক্লিক করে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।


TikTok এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন কিভাবে?
TikTok এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন কিভাবে


টিকটকে আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে প্রথমে এ্যাপটি খুলুন এবং নীচে আপনি যে আমার দেখতে পাবেন তার অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনি নিজের জিমেইল, ফোন নম্বর বা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে সাইন আপ করতে পারেন। ।


TikTok এ কিভাবে ভিডিও করবেন?

টিকটক

টিকটক


আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হন তবে আপনি প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে আইওএস ব্যবহারকারীদের এপস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।


টিকটকে ভিডিও তৈরি করা বেশ সহজ। আপনাকে কেবল এখান থেকে গান বা মিউজিক নির্বাচন করতে হবে এবং ভাল ভিডিও বানাতে হবে যেন মানুষের বিনোদন দেওয়া যায়।


১- TikTok app খোলার পরে, আপনি নীচে যে + বাটনটি পেয়ে যাচ্ছেন তার উপর Clik করুন।


২- পরবর্তী স্ক্রিনে, আপনি উপরে যে শব্দটি বেছে নিয়েছেন তার উপর ক্লিক করুন।


৩- আপনি যেমন Skinshoot দেখতে পাচ্ছেন, সংগীতের প্লেলিস্টটি আপনার সামনে উন্মুক্ত হবে, এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দসই গান, ডায়লগ নির্বাচন করতে পারেন বা মাই সাউন্ডে Click করে আপনি আপনার মোবাইল থেকে গান নির্বাচন করতে পারেন।


৪- এর পরে আপনার পর্দার ডানদিকে দেখতে অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে যাতে মোশন (এখান থেকে আপনি আপনার ভিডিওটি ধীর এবং দ্রুত করতে পারেন), ফিল্টারস, কাউন্টডাউন, বিউটি মোড, প্রভাবগুলি। এগুলি ছাড়াও আপনি নিজের অডিওটিও ছাঁটাতে পারেন।


৫- এখন ভিডিও রেকর্ড করার সময় এসেছে, আপনি এখানে ভিডিও বোতামে ক্লিক করে 3 থেকে 15 সেকেন্ডের  Video Make করতে পারেন।


৬- Tik Tok ভিডিও রেকর্ড করার পরে, আপনি এটিতে গানটি ছাঁটাই করতে পারেন, বিশেষ প্রভাব যুক্ত করতে পারেন এবং তারপরে শিরোনাম এবং Hah Tag যুক্ত করে প্রকাশ করতে পারেন।


আপনার Tik Tok ভিডিও প্রকাশের পরে, তার সাথে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন যাতে আপনার Video আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছতে পারে।

TikTok থেকে টাকা ইনকাম করার ৫ টি উপায়


TikTok একটি টাকা আয় apps। যার সাহায্যে আপনি মূলত 5 উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যেমন ব্র্যান্ডের অংশীদারিত্ব থেকে, ব্র্যান্ডের অংশীদারিত্ব থেকে, পণ্যদ্রব্য বিক্রয়, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, স্পনসরিত ইভেন্টে অংশ নেওয়া ইত্যাদি। আপনি শুনে বিশ্বাস করতে পারবেন না, একটি জনপ্রিয় টিকটোক তারকা সহজেই 2 থেকে 3 লক্ষ টাকা আয় করেন।


টিকটক একটি টাকা আয় করার apps, টিকটক আপনাকে কেবল 15 সেকেন্ডের Video করতে হবে। এর জন্য আপনি কমপক্ষে আধ ঘন্টা সময় নিতে পারবেন এবং যদি আপনি অল্প সময়ের মধ্যে TikTok Video তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তবে তা আপনার পক্ষে মিষ্টি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী পদ্ধতি রয়েছে যাতে আপনি এই টিকটক অ্যাপ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।


TikTok থেকে টাকা ইনকাম


লাইভ স্ট্রিমিং:

লাইভ স্ট্রিমিং টিক টকের প্রাথমিক উপার্জন পদ্ধতিটি হ'ল, আপনি ইমোজিগুলি অর্জন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। টিক টকে একটি লাইভ স্ট্রিম বিকল্প রয়েছে যা আপনি 1000 ফলোয়ার থাকার পরে পেতে পারেন। আপনার লাইভ হিসাবে আপনার ফলোয়ার বা ভক্তরা আপনাকে ইমোজি পাঠায়। প্রতিটি ইমোজিগুলির জন্য আপনি কিছু কয়েন পাবেন যা থেকে আপনি টাকা ইনকাম বা অর্থ উপার্জন করতে পারেন।


কনটেস্ট:

প্রচুর প্রতিযোগী চলছে, আপনি যদি এই কনটেস্টে অংশ নিয়ে থাকেন এবং আপনার ভিডিওটি ট্রেন্ডিংয়ে চলে যায় বা নির্বাচিত হয়ে যায়, আপনি এখানে 100 ডলার, $ 1000 কুপন, আইফোন এবং এর মতো পুরস্কার জিততে পারবেন প্রচুর আনুষাঙ্গিক।


গিফট:

আপনার যদি ব্যাপক ফলোয়ার থাকে বা অনুসারী থাকে তবে সংস্থাটি আপনাকে প্রচুর উপহার প্রেরণ করে। এটি আপনার উপার্জনের মাধ্যমও হতে পারে। টিক টক এপ থেকে টাকা ইনকামরে এটি ভালো উপায় হতে পারে।


স্পনসারশিপ:

ইউটিউবের মতো টিকটকেও, আপনি অনেক বেশি অনুরাগীর সাথে সাথে Sponsorship থেকে অর্থ উপার্জন টাকা আয় করতে পারেন, এইভাবে ব্র্যান্ড এবং সংস্থাগুলি স্পনসরশিপের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।


প্রমোশন:

আপনার Follower যেমন টিকটকে বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি জনপ্রিয় হবেন, তেমনিভাবে লোকেরা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে আপনাকে অনুসরণ করবে। এতে অনেকগুলি ব্র্যান্ড রয়েছে, এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা আপনাকে তাদের প্রতিষ্টান বা নিজেকে সবার মাঝে প্রচার করতে বা শাউট আউট দিয়ে প্রচার করতে অনুরোধ করবেন এবং আপনি এটি থেকে অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন।

টিকটক সর্ম্পকে আরও জানুন

টিকটক থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

মূলত যারা TikTok Videoকরেন তারা বেশিরভাগই তাদের আয়ের স্পনসর বা ব্র্যান্ড ডিল করেন। আপনার যত বেশি অনুগামী রয়েছে ততক্ষণে আপনি স্পনসরশিপের জন্য আরও বেশি টাকা নিতে পারবেন। আপনার যদি প্রায় 100,000 অনুসরণকারী থাকে তবে আপনি প্রায় 10 থেকে 30 হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।


টিকটকে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার কার?

টিকিটকের সর্বাধিক অনুসরণকারী ব্যবহারকারী লরেন গ্রে, যার 39.9 মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।


টিকটক ভিডিও তৈরি করে কী লাভ হয়?

টিকটোক একটি জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। এখানে ভিডিও তৈরি করে আপনি নাম, খ্যাতির সাথে অর্থ পাবেন। এখন টিকটকে ভিডিও করে কিছু লোক সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছে। আপনিও চেষ্টা করলে সেলিব্রেটি হয়ে যেতে পারবেন।


শেষ কথা (টিকটক থেকে আয়)

মোবাইল বা এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে আয় করার সবথেকে ভালো প্লটফর্ম হলো TikTok। টিকটক আসল খুব বেশি সময় হয় নাই, তবে এখনও এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিওর কারণে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি আপনার ইন্টারটেইনমেন্টের জন্য খুব পপোলার মাধ্যম, তবে আপনি যদি এ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তবে প্রথমে আপনাকে এখানে জনপ্রিয় হতে হবে। সরার মাঝে আপানাকে তুলে ধরতে হবে।


অন্যান্য প্লেটফর্মের মতো টিক টকে পপোলার হয়ে উঠতে আপনাকে ভাল মানের এবং ইন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও করতে হবে এবং এতেও ধারাবাহিকভাবে থাকতে হবে, তবেই আপনি এ থেকে টাকা আয় কারার কথা ভাবতে পারেন।


রিলেটেড টপিক - ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা আয়


TikTok থেকে টাকা ইনকাম করার ৫ টি উপায় সর্ম্পকে জেনে যদি আপনার ভালো লাগে তবে পোস্টটি সর্বাধিক শেয়ার করুন।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান? সেক্ষেত্রে অনুসরণ করুন এই মোবাইল আর্নিং গাইড। এই পোস্টে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় ও কীভাবে মোবাইলে টাকা ইনকাম করবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে এই উপায়গুলো ট্রাই করতে পারেন।


মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি?

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার একাধিক উপায় রয়েছে। যদি আপনার হাতে একটি ফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তাহলেই এখনি নেমে পড়তে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় সমুহ হলোঃ


ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে

ব্লগিং করে

ফ্রিল্যান্সিং করে

ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে

অনলাইন টিউশন করে

ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা

রিসেলিং ব্যবসা করে

ইন্সটাগ্রাম থেকে

মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে

ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে

ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে

ড্রাইভিং করে

টাকা ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে

মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম

ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট ও আপলোড পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মোবাইল ফোনেই করা যায়। মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করা সম্ভব। এছাড়া যথেষ্ট বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পন্সরড ভিডিও করেও টাকা ইনকাম সম্ভব।



কী নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন, সেটা নিয়ে ভাবছেন? বর্তমানে ইউটিউবে সকল ধরণের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে। নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করে সেই বিষয়ক ভিডিও মোবাইলে তৈরী করে ইউটিউব দ্বারা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারে যেকেউ।



ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে গেলে প্রয়োজন হয়ঃ


বিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম

মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার

উল্লেখিত দুইটি শর্ত পুরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয়। একটু আগেই যেমন বললাম, আপনার চ্যানেল কিছুটা বড় হতে শুরু করলে ইউটিউব মনেটাইজেশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সারশিপ থেকেও আয় সম্ভব। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর আরো পথ তো থাকছেই।


ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

দিনদিন অনলাইনে লেখার চাহিদ বাড়ছে। সে কথা মাথায় রেখে আপনিও হাতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুলে ফেলতে পারবেন একটি ব্লগ। আপনার ব্লগ এ গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিতে পারলেই শুরু হয়ে যাবে আয়।


ব্লগিং শুরু করতে প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার কিংবা অন্য কোনো ব্লগিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে নিজের ব্লগিং সাইট সেটআপ করুন। এরপর ধীরেধীরে কনটেন্ট পোস্ট করুন ও ব্লগে যথেষ্ট পরিমাণ মানসম্মত কনটেন্ট থাকলে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ব্লগে এড দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও ব্লগে স্পন্সরড পোস্ট ও অ্যাফিলিয়েট পোস্টিং এর মাধ্যমেও আয়ের সুযোগ রয়েছে।


উল্লেখ্য যে, মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্লগের ডোমেইন ও হোস্টিং কিন্তু কিছু অর্থ খরচ হবে। আপনি যদি এই খরচ বহনে অপারগ হন, সেক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্লগেও অর্থের বিনিময়ে লিখতে পারেন।


ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু নির্দিষ্ট কোনো কাজ  নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করে অর্থ উপার্জনকেই বলা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ফ্রিল্যান্সারগণ মোবাইলের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে থাকেন।


আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার কোনো একটি স্কিল অর্থাৎ দক্ষতা থাকার প্রয়োজন পড়বে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলোঃ


কনটেন্ট রাইটিং

ট্রান্সলেশন

কপিরাইটিং

ব্লগ কমেন্টিং

ফোরাম পোস্টিং

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

প্রুফরিডিং

প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং

ট্রান্সক্রিপশন, ইত্যাদি

ফটো ও ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

আপনার হাতে থাকা ফোনটি যদি ভালো ছবি ক্যাপচার করতে সক্ষম হয় এবং আপনারও ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।


হতে পারে ফটোগ্রাফি আপনার শখ। এই শখকে কাজে লাগিয়ে আপনিও মোবাইল দিয়েই টাকা আয় করতে পারেন। ছবি ও ভিডিও বিক্রির জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। এমন মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির কিছুর জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা সার্ভিস হলোঃ


শাটারস্টক

ফোপ

আইএম

স্ন্যাপওয়্যার

ড্রিমসটাইম

এসব সাইটে স্টক ইমেজ ছাড়াও প্রায় সকল ধরনের ছবিই কেনাবেচা হয়। আপনি যে ধরনের ছবিই তুলুন না কেনো, এসব সাইটে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।


অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী হন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের পড়ানোর মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।


অনলাইন টিউশান এর পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স বানাতে পারেন, যা বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেও আয় করতে পারেন।


ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বুঝেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে একাধিক আয়ের পথ খোলা রয়েছে, তাও মোবাইল দিয়েই। প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। এরপর অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে শিখিয়েও আয় করতে পারেন।


ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

পূর্বে ব্যবসা শুরু করা একটি লম্বা প্রসেস ছিলো। তবে ফেসবুক ব্যবহার করেই বর্তমানে যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব ঘরে বসেই। দেশে ফেসবুক এর অসংখ্য ইউজার রয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীই হয়ে উঠতে পারে আপনার কাস্টমার।


ফেসবুক ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস করতে আপনার ইনভেস্ট করতে হবে কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য। এরপর উক্ত প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পেজের ক্যাটালগে এড করে দিয়ে যেসব জায়গা থেকে সেল আসা সম্ভব, সেসব জায়গায় শেয়ার করুন। ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবেনা।


বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির বদৌলতে ফেসবুক অনলাইন শপ পেজগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের হার অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাপ্লাই ডিমান্ডের কথা মাথায় রেখে মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করে টাকা আয় করতে পারেন আপনিও।


ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও রয়েছে মনিটাইজেশন সুবিধা। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করে পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করতে প্রয়োজনঃ


গত ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম

সর্বনিম্ন ৫টি একটিভ ফেসবুক ভিডিও

১০ হাজার পেজ ফলোয়ার।

এছাড়াও আপনি ফেসবুক ও ইউটিউব এর জন্য একই কনটেন্ট তৈরী করে দুইটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনার হার বেশি থাকে।


ফেসবুক থেকে ইনকাম এর একাধিক মডেল রয়েছে, যেমনঃ ইন-স্ট্রিম এড, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র‍্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। ফেসবুকে যেহেতু ভিডিও শেয়ারিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই ভাইরাল করা যায়, সেক্ষেত্রে সময় দিলে ফেসবুক পেজ মনেটাইজেশন তুলনামূলক সহজ একটি কাজ।



রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

রিসেলিং ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধরুন, আপনি ৫০টাকা দরে এক ডজন কলম কিনলেন এবং ৬৫টাকা দরে বিক্রি করলেন। বাড়তি যে দামে বিক্রি করবেন, সেটাই আপনার লাভ। এটাই হচ্ছে মূলত রিসেলিং ব্যবসার মডেল।


আপনি অনলাইনে শপ খুলে প্রোডাক্ট লিস্ট করতে পারেন। এরপর যখনই অর্ডার পাবেন, তখন কমদামে ওই পণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবেন। রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা হলো, আপনাকে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার পেছনে কোনো  টাকা খরচ করতে হবেনা। শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই।


ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

ইন্সটাগ্রাম শুধুমাত্র একটি ফটো বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মই নয়, এর থেকে আয় করাও সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম থেকে একাধিক মাধ্যমের সাহায্যে আয় সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম এ আয় করার উপযোগী প্রোফাইল তৈরি করতেঃ


একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল বায়ো তৈরী করুন

নিয়মিত নির্দিষ্ট বিষয় এর আঙ্গিকে পোস্ট করুন

পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন

একই ধরনের অন্য প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন

ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন

ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে দরকার একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগের। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উপায় হলোঃ


টাকার বিনিময়ে অন্যের একাউন্ট প্রোমোট করে

স্পন্সরড পোস্ট করে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে

নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি


অন্যসব প্ল্যাটফর্মের মতোই ইন্সটাগ্রামে কনটেন্ট এর বিশাল চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এই চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট সাপ্লাই দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে খুব সহজেই অল্পদিনের মধ্যে আপনার ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল জনপ্রিয় হয়ে যাবে ও আয় করতে পারবেন।

মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

ছোটোখাটো অনেক সহজ কাজ, যেমনঃ পোস্ট শেয়ার, ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা, অ্যাপ ইন্সটল ইত্যাদির কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট অর্থ প্রদান করে থাকে। এসব সাইটকে মাইক্রোওয়ার্ক সাইট বলে। এসব সাইটের সুবিধা হচ্ছে, যেকেউ যেকোনো ডিভাইস এমনকি মোবাইল দিয়েও এসব সাইট থেকে আয় করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট হলোঃ


মাইক্রোওয়ার্কার্স

পিকোওয়ার্কার্স, ইত্যাদি

ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিং সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম

ব্যাংক যে টাকা রাখার বিনিময়ে সুদ প্রদান করে, এটা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু ব্যাংক থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ লাভ করতে প্রয়োজন বিশাল অংকের অর্থ। এছাড়া অনেকে সুদ অপছন্দ করেন। ইনভেস্টমেন্ট সাইটগুলো বর্তমানে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করার বিনিময়ে লাভ দিতে পারে।


ইনভেস্টমেন্ট সাইট অনেক থাকলেও, অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইটের আড়ালেই থাকে প্রতারণার সম্ভাবনা। তাই যেকোনো ইনভেস্টমেন্ট সাইটে যেকোনো অংকের অর্থ ইনভেস্ট এর আগে এটা নিশ্চিত করুন যে, সাইটটি প্রতারক নাকি আসলেই কাজ করে।


ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

বাংলাদেশে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন বাড়ছে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করার জন্য লোকবলের। আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল বা বাইক এবং হাতের কাছে একটি স্মার্টফোন থাকে, সেক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারেন ফুডপান্ডা, সহজ ফুড এর মতো ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে। এই ডেলিভারি সার্ভিস এর কাজ পার্ট-টাইম ও ফুল-টাইম, আপনার ইচ্ছামত যেকোনো উপায়েই করতে পারেন।


ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

সম্প্রতি দেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি নিয়ে এসেছে। আপনার যদি রাইড শেয়ারিং করার মতো একটি যানবাহন ও একটি স্মার্টফোন থাকে, তবে এখনই আয় শুরু করতে পারেন।


পাঠাও, উবার এর মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোতে কাজ করা যায় পার্ট-টাইমও। আপনি যদি ইনকামের একটি আলাদা সোর্স খুঁজে থাকেন, তবে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়েই ইনকাম করতে পারবেন। 👉 রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায় জানুন।


মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অসংখ্য অ্যাপ থাকলেও খুব কম অ্যাপেই টাকা ইনকাম করা যায়। এসব অ্যাপ থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ আয় করা না গেলেও হাত খরচের টাকা তোলা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উল্লেখ্যোগ্য অ্যাপঃ


পকেট মানিঃ এই অ্যাপটিতে বিভিন্ন গেম খেলে, সার্ভে কমপ্লিট করে ও কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করে আয় করা যাবে। এছাড়াও অ্যাপে অন্যদের রেফার করলেও থাকছে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বোনাস। টাকা তোলা যাবে মোবাইল রিচার্জ এর মাধ্যমে।

পোল পেঃ এই অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীর মতামত এর জন্য পে করে থাকে। এটি একটি অপিনিওন ও আনসার রিওয়ার্ড অ্যাপ। অর্জিত ক্রেডিট তোলা যাবে গুগল প্লে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, এক্সবক্স ইত্যাদির গিফট কার্ড হিসেবে। আপনি চাইলে এই গিফট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন বা বিক্রিও করতে পারবেন।

গুগল অপিনিওন রিওয়ার্ডঃ এই অ্যাপটি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয়। অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন সার্ভে কমপ্লিট এর জন্য গুগল প্লে ক্রেডিট দিয়ে থাকে।


মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম

হ্যাঁ, বিকাশ অফার থেকেও মোবাইলে টাকা ইনকাম সম্ভব। বিকাশ থেকে টাকা আয় করা অত্যন্ত সহজ। মূলত বিকাশ অ্যাপ রেফার করে বিকাশ দিয়ে ইনকাম করা যায়। বিকাশ অ্যাপ রেফার করে ১০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যাবে। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে আয় করতেঃ


বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে ডানদিকের বিকাশ লোগোতে ক্লিক করুন

‘রেফার বিকাশ অ্যাপ’ অপশন থেকে ‘রেফার’ এ ক্লিক করুন

অ্যাপের লিংকটি যেকোন মাধ্যম, যেমনঃ এসএমএস, ই-মেইল, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ইত্যাদির মাধ্যমে শেয়ার করুন

রেফারেল লিংক ব্যবহার করে যিনি বিকাশ অ্যাপ দিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে একাউন্ট খুলে লগ ইন করবেন, তিনি পাবেন ২৫ টাকা ইনস্ট্যান্ট বোনাস

এরপর তিনি বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার যেকোনো পরিমান মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে পাবেন আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক বোনাস। সর্বমোট ৫০ টাকা বোনাস পাবেন গ্রাহক। আপনিও বোনাস পাবেন।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post